বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরবর্তী পরিচালনা পর্ষদ গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৪ অক্টোবর। দীর্ঘদিন ধরেই এ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিসিবির বৈঠকে দিন-তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে জমে উঠতে শুরু করেছে ক্রিকেট অঙ্গনের আলোচনা।
এরই মধ্যে গঠিত হয়েছে তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন পুলিশের সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি সিবগাত উল্লাহ এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক, যিনি একই সঙ্গে একজন যুগ্ম সচিব। তারা ১৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার রূপরেখা চূড়ান্ত করেন।
এই নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে, যখন প্রকাশিত হবে ভোটারদের খসড়া তালিকা। পরদিন অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর জানা যাবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। এরপর ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৬ তারিখে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৮ সেপ্টেম্বর এবং সেদিনই পোস্টাল ও ই-ব্যালট বিতরণ করা হবে।
৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ, এবং সেদিনই জানা যাবে প্রাথমিক ফলাফল। পরদিন, ৫ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত ফলাফল।
নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন প্রাক্তন অধিনায়ক তামিম ইকবাল, যিনি এবার নতুন ভূমিকায় আসছেন ক্রিকেট প্রশাসনে। পাশাপাশি বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে বোর্ডের দীর্ঘদিনের দুই পরিচিত মুখ আকরাম খান ও মাহবুব আনাম এবার সরে দাঁড়াচ্ছেন।
পরিচালক পদে নির্বাচন হবে তিনটি শ্রেণিতে। বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হবেন ১০ জন, ক্লাব প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে আসবেন ১২ জন, আর একজন নির্বাচিত হবেন সাবেক অধিনায়ক বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে। এ ছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত আরও দুইজন মিলিয়ে মোট ২৫ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন। পরে তাদের মধ্য থেকেই ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন বিসিবির সভাপতি।
Discussion about this post