এশিয়া কাপের আগে সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছিল বাংলাদেশ দলের জন্য বড় পরীক্ষা। সিরিজ জয় সহজেই এসেছে, তবে সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য ছিল আসন্ন টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি সেরে নেওয়া। সেখানে ব্যাটিং ইউনিটকে পুরোপুরি যাচাই করার সুযোগ মিলেনি। সিলেটের উইকেটে রান তাড়ার লক্ষ্য ছিল ছোট, আর শেষ ম্যাচ ভেসে গেল বৃষ্টিতে। ফলে বড় রান তাড়া করা কিংবা আগে ব্যাট করে ১৮০–১৯০ রানের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার অনুশীলন হলো না।
অধিনায়ক লিটন দাস আবারও প্রমাণ করেছেন, ধারাবাহিকতা থাকলে তিনি দলের সবচেয়ে বড় সম্পদ। প্রথম ম্যাচে ফিফটির পর শেষ ম্যাচে খেলেছেন ঝলমলে ৭৩ রানের ইনিংস। তিন ম্যাচে করেছেন ১৪৫ রান, গড় ১৪৫! শুধু তাই নয়, সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক ফিফটির (১৪) নতুন রেকর্ড গড়েছেন লিটন। তাঁর ব্যাটিং ছন্দ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের জন্য আশার আলো।
তাসকিন আহমেদ সিরিজে ছিলেন দুর্দান্ত-প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট, পরের ম্যাচে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন ধারাবাহিকভাবে। সঙ্গে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, যার ইকোনমি ছিল সবসময় নিয়ন্ত্রিত। নতুন মুখ তানজিম সাকিবও সীমিত সুযোগে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছেন। সব মিলিয়ে পেস আক্রমণ এখন অনেকটাই দৃঢ় মনে হচ্ছে।
সিলেটের কন্ডিশনে স্পিনারদের তেমন সাহায্য না মিললেও নাসুম আহমেদ দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। সাইফ হাসানও ব্যাটিং–বোলিং দুই দিকেই অবদান রেখেছেন প্রথম ম্যাচে। যদিও ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে শেষ ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন, তবু তাঁর ইতিবাচক খেলার মানসিকতা কোচিং স্টাফদের আস্থা দিয়েছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঘাটতি রয়ে গেছে পাওয়ার হিটিংয়ে। শেষ ম্যাচে নুরুল হাসান সোহান (১১ বলে ২২) ও জাকের আলী অনিক (১৩ বলে ২০) ছক্কার ঝড় তোলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তারা ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। প্রথম দুই ম্যাচে রান তাড়া সহজ হওয়ায় এই দিকটা পরীক্ষার সুযোগও হয়নি।
Discussion about this post