গতবছরই পেয়েছিলেন ভারতরত্ন। যেদিন ক্রিকেটকে গুডবাই বলেছিলেন সেদিনই মিলেছিল ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব। মঙ্গলবার সেই স্বীকৃতির স্মারকটাও বুঝে পেলেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। ভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মান ভারতরত্ন খেতাব পেলেন ভারতীয় ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি। শুধু ক্রীড়াঙ্গনের প্রথম ব্যক্তি হিসেবেই নয়, সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবেও এই সম্মান পেলেন শচীন। রেকর্ডের বরপুত্রের এখানেও রেকর্ড!
ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানে ৪১ বছর বয়সী এ কিংবদন্তির হাতে এ খেতাব তুলে দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জী।
২০০ টেস্টে শচীনের রান ১৫,৯২১। সেঞ্চুরি ৫১। পাশাপাশি ৪৬৩ ওয়ানডেতে ৪৯ সেঞ্চুরিসমেত রান ১৮,৪২৬। টেস্ট এবং ওয়ানডের সর্বাধিক রান ও সেঞ্চুরির সব রেকর্ড রয়েছে তার দখলে।
তার যতো স্বীকৃতি
* ভারতের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ব্র্যাডম্যান ইলেভেনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
* ২০১০ সালের ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার হিসেবে আইসিসির স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি জেতেন।
* ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণ জেতেন ২০০৮ সালে।
* ২০০৪ ও ২০০৭ সালে আইসিসির বিশ্ব ওয়ানডে একাদশে স্থান পান।
* ২০০৫ সালে খেলাধুলার জন্য রাজীব গান্ধী পুরস্কার পান।
* ২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপে হন প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট।
* ২০০১ সালে পান মহারাষ্ট্র প্রদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার মহারাষ্ট্র ভূষণ অ্যাওয়ার্ড।
* ১৯৯৯ সালে পান ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী।
* ১৯৯৭-৯৮ সালে ভারতে খেলাধুলায় অবদান রাখার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ পুরস্কার রাজীব গান্ধী খেলরত্ন
* ১৯৯৭ সালে হন উইজডেন ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার।
* ১৯৯৪ সালে খেলাধুলায় অসামান্য অবদান রাখায় ভারত সরকারের অর্জুন অ্যাওয়ার্ড প্রদান।
* ২০১০ সালের অক্টোবরে খেলাধুলায় অসাধারণ কৃতিত্ব রাখার জন্য লন্ডনে দ্য এশিয়ান অ্যাওয়ার্ডসের পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড পান।
* ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি ‘ক্যাস্ট্রল ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার’ হন।
* ২০১৩ সালে পান ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব ভারতরত্ন
Discussion about this post