অক্টোবরের শুরুতেই শেষ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ। নিয়ম অনুযায়ী, তার পরের সপ্তাহে হওয়া উচিত নির্বাচন। কিন্তু এবার নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে স্পষ্টতই বেশি।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিসিবির ক্ষমতার বলয়ে প্রভাবশালী পরিচালক হিসেবে নিজেকে ধরে রেখেছেন সহসভাপতি মাহবুবুল আনাম। ক্ষমতার পালাবদল হলেও তাঁর অবস্থান বদলায়নি। অথচ এই মুহূর্তে তিনি ঘোষণা দিলেন, আর নির্বাচন করবেন না। ক্রিকেট মহলের কাছে এটি যেন অপ্রত্যাশিত এক ‘উইকেট পতন’।
জানা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু গোপন তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসায় নিজেকে আড়াল করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
গঠনতন্ত্রে নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের স্পষ্ট বিধান থাকলেও এখনো সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। বরং জোরালো হচ্ছে অ্যাডহক কমিটি গঠনের আলোচনা। সমস্যা হলো-বর্তমান গঠনতন্ত্রে এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই। তবুও আইনের ব্যাখ্যা বা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সবকিছু পাল্টে যেতে পারে। প্রশ্ন উঠছে-অক্টোবরে আসলেই নির্বাচন হবে, নাকি অস্থায়ী কমিটি নিয়েই চলবে বোর্ডের কার্যক্রম?
বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অবশ্য স্পষ্ট করে বলেছেন, মেয়াদ শেষ হলে তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছেও নেই তাঁর। বরং তিনি মনোযোগ দিচ্ছেন বিসিবির চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে এবং ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরামর্শক হিসেবে কাজ করার স্বপ্ন দেখছেন। যদি সত্যিই অ্যাডহক কমিটি হয়, তবে সেখানে বুলবুলকে নিয়েই কাজ এগোতে পারে-যদিও তিনি নিজে আগ্রহী নন।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতার সঙ্গে বিসিবির নিয়ন্ত্রণ ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে বিসিবির নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও আলোচনা জোরদার হচ্ছে!
Discussion about this post