জাতীয় লিগের মাঠে গড়ানোর আগেই ক্রিকেটার ও কোচদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি পর্ব, আর অক্টোবরের মাঝামাঝি মাঠে শুরু হবে চার দিনের আসর। তিন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত ২০ ওভারের প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। আট বিভাগের কোচ ৩০ জনের প্রাথমিক স্কোয়াড জমা দিয়েছেন বিসিবিতে।
বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর মিরপুরে দুই দিনের ফিটনেস টেস্ট হবে, যা ব্যর্থ হলে কেউ জাতীয় লিগে খেলতে পারবে না। টেস্টের ফলাফল দেখে প্রতিটি বিভাগের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করা হবে।
তবে প্রাথমিক দল গঠনের ক্ষেত্রে নানা অসংগতি দেখা দিয়েছে। রাজশাহীর দলে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে, যেখানে মাইশুকুর রহমান রিয়েল, যিনি গত পাঁচ বছর রাজশাহীর হয়ে খেলেননি, তার প্রভাব উল্লেখযোগ্য বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে মুশফিকুর রহিম রাজশাহী না খেলেই সিলেট দলে যোগ দিয়েছেন। রাজশাহীর কোচ ও ম্যানেজার মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বরিশাল দলে ক্রিকেটারের সংকটকে সমাধান করতে নির্বাচকেরা অন্য বিভাগ থেকে কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। জাতীয় দলের স্পিনার তানভীর ইসলামসহ ইফতেখার ইফতি, তাসামুল হক, কামরুল ইসলাম রাব্বী, ফজলে রাব্বী ও সোহাগ গাজী প্রাথমিক দলে রয়েছেন। তবে কোচ ও ক্রিকেটার প্রভাবের খবর পাওয়ার পর টুর্নামেন্ট কমিটি কোচ ও অধিনায়ক পরিবর্তন করেছে। নতুন কোচ হয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
সিলেট বিভাগের কোচ রাজীন সালেহ জানিয়েছেন, ‘আমাদের দল ভালো, সবাই আগের বছরের খেলোয়াড়, মুশফিক এসেছে। এখানে প্রভাব খাটানোর কোনো সুযোগ নেই।’
প্রধান নির্বাচক লিপু জানিয়েছেন, কিছু দলে অনভিজ্ঞ বা দ্বিতীয় বিভাগের ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্ত করার খবর এসেছে, ‘আমরা যাচাই-বাছাই করে বিতর্কিতদের বাদ দেব। কোচদের আরও শক্ত থাকতে হবে। মূল নির্বাচন তারা করেন, আমরা শুধু তালিকা ছোট করি।’
বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, ‘কোচদের স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য আমরা দায়িত্ব দিয়েছি। লিগ শুরুর আগে কোচ ও ম্যানেজারদের সঙ্গে বসব, সমস্যা থাকলে সমাধান করব। আশা করি এবারও লিগ ভালোভাবে শুরু ও শেষ হবে।’
Discussion about this post