অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে টপ এন্ড টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে শুরুটা হয়েছিল হতাশার। তবে সেই আক্ষেপ ঝেড়ে ফেলে দ্বিতীয় ম্যাচে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে হাজির হলো বাংলাদেশ ‘এ’। ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন জিশান আলম ও আফিফ হোসেন, বল হাতে ঘূর্ণির মায়াজাল ছড়ালেন রাকিবুল হাসান। ফলাফল-৩২ রানের দারুণ জয়, আর দলের মুখে ফুটল স্বস্তির হাসি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নুরুল হাসান সোহান। ব্যাট হাতে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন জিশান ও নাঈম। প্রথম ওভারেই আসে ১৬ রান, পরের ওভারেও ১৪। দ্রুত রান তোলার ধারা বজায় রেখে পাওয়ার প্লের মধ্যেই গড়েন ৬২ রানের জুটি। নাঈম ১৮ বলে ২৫ রান করে ফিরলেও জিশান চালিয়ে যান তার ঝড়।
৩৩ বলে অর্ধশতক তুলে নেন এই ডানহাতি ওপেনার। সেঞ্চুরির পথে এগোলেও শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি। ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা। এরপর ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখান আফিফ। চার নম্বরে নেমে মাত্র ২৩ বলে ৯ চার মেরে অপরাজিত ৪৮ রান করেন। তাঁর ব্যাটিংয়েই শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৮৬ রানে থামে বাংলাদেশ ‘এ’-এর ইনিংস।
১৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে নেপাল। ১৩ ওভারের মধ্যে তারা হারায় ৬ উইকেট। কুশাল ভুর্তেলকে ফিরিয়ে দেন হাসান মাহমুদ, আসিফ শেখকে আউট করেন তোফায়েল আহমেদ। এরপর রাকিবুল হাসানের ঘূর্ণিতে একে একে বিদায় নেন বাহাদুর বাম, দীপেন্দ্র সিং আইরে ও গুলশান ঝাও।
রাকিবুলের ঝলকেই কার্যত ছিটকে পড়ে নেপাল। শেষদিকে কিছুটা লড়াই করেন কুশল মাল্লা। ৪৭ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকলেও জয়ের সমীকরণে তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৪ রানে থামে নেপালের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন রাকিবুল-৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। হাসান মাহমুদ নেন ২ উইকেট, রিপন মন্ডল ও তোফায়েল একটি করে।
Discussion about this post