ঢাকা টেস্ট শেষেও প্রশ্নটা উঠেছিল। এবার চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগেও সেই একই প্রশ্ন শুনতে হল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে।
-দলের সিনিয়রদের দায়িত্ব প্রসঙ্গ।
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সেই বাজে আউটটাই এই প্রশ্ন আরও বেশি উস্কে দিয়েছে। মুশফিক কিন্তু আগের মতো এখানেও তার দলের খেলোয়াড়দের আগলে রাখলেন-‘দলের সিনিয়র খেলোয়াড় যেমন আমি, তামিম এবং সাকিবকে ভাল রান করার দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।’
ঢাকা টেস্টে কোনকিছুই বাংলাদেশের পক্ষে যায়নি। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং-সব বিভাগেই ডাঁহা ব্যর্থ গোটা দল। মুশফিক আশায় আছেন-চট্টগ্রামে সৌভাগ্যের মাঠে এই দুরবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে।
মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রামে শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টের উইকেটও বাংলাদেশের হয়েই খেলার কথা! ধীরগতি এবং নিচু বাউন্সের এই উইকেট থেকে আর যাই হোক শ্রীলঙ্কার পেস বোলাররা বাউন্সার তুলতে পারবে না। তুললেও সেটা মোকাবেলা করা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য তেমন কঠিন কিছু হবে না। ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের পুরো ব্যাটিং লাইনআপকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছিল শ্রীলঙ্কার শর্ট বলের কৌশল।
তবে চট্টগ্রামের উইকেট দেখে শ্রীলঙ্কাও নিশ্চিতভাবে ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামবে। এখানে একাদশেও ভিন্নতা আনছে শ্রীলঙ্কা। ইনজুরির কারণে স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ ও পেসার শামিন্দা এরাঙ্গা এই টেস্টে খেলছেন না। হাতে সময় নেই-তাই দেশ থেকে এই দুজনের বদলি হিসাবেও কাউকে আনা যাচ্ছে না। চট্টগ্রাম টেস্টে হেরাথের জায়গায় আসছেন অজন্তা মেন্ডিস আর পেসার এরাঙ্গার স্থানে খেলবেন নুয়ান প্রদ্বীপ। একাদশে বদল আনছে বাংলাদেশও। ইনজুরির কারনে মার্শাল আইয়ুব খেলছেন না। ব্যাটিংয়ে তার জায়গাটা নিচ্ছেন ইমরুল কায়েস। আর ঢাকা টেস্টে তিন পেসার নিয়ে খেলার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনাটা মোটেও কাজে দেয়নি। বোলিং আক্রমনে চট্টগ্রামে নিজেদের পরিচিত শক্তি স্পিনের ওপরই ভরসা খুঁজছে বাংলাদেশ। একাদশে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অথবা আব্দুর রাজ্জাকের একজনকে দেখা যেতে পারে। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খেলার সম্ভাবনাই বেশি।
চট্টগ্রামের মাঠ বাংলাদেশ দলের জন্য বরাবরই সৌভাগ্যের মাঠ হিসেবে পরিচিত। আর এখানে খেলতেই নামলেই তামিম ইকবালের কাছে দর্শকদের একটা বাড়তি দাবি থাকে-‘রান চাই বদ্দা!’
ঢাকা টেস্টে ৬ এবং ১১ রান করা তামিম ইকবালের কাছে এখন এই দাবিটা গোটা বাংলাদেশেরই!
Discussion about this post