শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। এই জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নেয় লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল।
টেস্ট ও ওয়ানডেতে পরপর ব্যর্থতার পর এই জয় কিছুটা হলেও সান্ত্বনা এনে দিয়েছে টাইগারদের মাঝে। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘যখন আপনি ম্যাচ জিতবেন, আমার মনে হয় এমনিতেই দলের চেহারা পরিবর্তন হয়ে যায়, বুস্ট আপ হয় সবাই।’
লিটন আরও যোগ করেন, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বড় ব্যবধানে জয় থেকেই দল আত্মবিশ্বাস পেয়েছে, ‘যেকোনো দিন আপনি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৮৩ রানে জিতবেন, মানে এটা অনেক বড় জয়।’
গতকাল প্রথমে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ১৩২ রানে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশি বোলাররা। বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন শেখ মেহেদি, যিনি একাই তুলে নেন ৪টি উইকেট। স্বাগতিকদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণে ছিল বাংলাদেশের ইনিংস। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম খেলেন ঝড়ো ও দাপুটে এক ইনিংস, মাত্র ৪৭ বলে এক চার ও ছয় ছক্কার মারে ৭৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। ২১ বল হাতে রেখেই ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
লিটন জানান, দলের বিশ্বাস এবং অভিজ্ঞতা এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, ‘বিশ্বাস তো সবসময় আছে। শেষ দশ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। ক্ষুধা ছিল, যেহেতু অনেকদিন ধরে রান করছিলাম না। চেষ্টা করছিলাম সুযোগটা লুফে নিতে।’
এখন টাইগারদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ পাকিস্তান সিরিজ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরে। তবে আবহাওয়ার কারণে উইকেটের আচরণ নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় আছেন লিটন, ‘প্রতিদিন ঢাকায় বৃষ্টি হচ্ছে, সুতরাং উইকেট কতটা কঠিন হতে পারে সেটা মাথায় রাখতে হবে।’
আগস্টের পাকিস্তান সিরিজের পর সেপ্টেম্বরে রয়েছে এশিয়া কাপ। চূড়ান্ত লক্ষ্য ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যেটি বসবে ভারত ও শ্রীলঙ্কায়।
Discussion about this post