শারজাহর আলিশান গ্যালারিতে বাজল আরব আমিরাতের বিজয়ের সুর, আর বাংলাদেশের জন্য তা হয়ে রইল হতাশার আরেক অধ্যায়। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ল লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। এটি শুধু একটি সিরিজ হার নয়, বরং ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট কারণ।
শেষ ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ৮৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়েও শেষ পর্যন্ত ১৬২ রান তোলে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা আর বোলারদের অনিয়ন্ত্রিত বোলিং মিলে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরার মতো কিছুই ছিল না। আরব আমিরাত অনায়াসেই লক্ষ্যে পৌঁছায় ৫ বল হাতে রেখেই।
এই জয়ে টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সিরিজ জয় তুলে নিল আমিরাত। প্রথমবার তারা হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে, এবার বাংলাদেশকে। এদিকে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো সিরিজ হারল সহযোগী দেশের বিপক্ষে—গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারের পুনরাবৃত্তি ঘটল এবার শারজাহতে।
বল হাতে হায়দার আলির ৩ উইকেট, ব্যাট হাতে আলিশান শারাফু ও আসিফ খানের অপরাজিত ৮৭ রানের জুটি বাংলাদেশের সব সম্ভাবনা ধূলিসাৎ করে দেয়।
পরিসংখ্যান বলছে, এই হার কেবল একটি ম্যাচ হার নয়—এটি বাংলাদেশের মানসিক ও কৌশলগত দুর্বলতার প্রকাশ। ক্রিকেট বিশ্বে নিজেদের অবস্থান নিয়ে এখন সত্যিই চিন্তা করার সময় এসেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬২/৯ (তানজিদ ৪০, পারভেজ ০, লিটন ১৪, হৃদয় ০, শেখ মেহেদি ২, জাকের ৪১, শামীম ৯, রিশাদ ০, তানজিম ৬, হাসান ২৬*, শরিফুল ১৬*; আকিফ ৪-০-২৭-১, ধ্রুব ৩-০-২৪-১, মাতিউল্লাহ ৪-০-৪১-২, হায়দার ৪-১-৭-৩, সাগির ৪-০-৩৬-২, ওয়াসিম ০.৫-০-২৩-০, আলিশান ০.১-০-৩-০)
সংযুক্ত আরব আমিরাত: ১৯.১ ওভারে ১৬৬/৩ (ওয়াসিম ৯, জোহেইব ২৯, আলিশান ৬৮*, রাহুল ১৩, আসিফ ৪১*; শেখ মেহেদি ৪-০-৩৬-০, শরিফুল ৪-০-২৪-১, হাসান ৩.১-০-৩৩-০, তানজিম ৪-০-৪০-১, রিশাদ ৪-০-৩২-১)
ফল: সংযুক্ত আরব আমিরাত ৭ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: আলিশান শারাফু।
সিরিজ সেরা: মুহাম্মাদ ওয়াসিম
Discussion about this post