সিরিজ নিশ্চিত করার সুবর্ণ সুযোগ ছিল আকবর আলিদের সামনে। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয়টিতেও জয় পেলে সিরিজ নিজেদের করে নিতে পারত বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। কিন্তু ডিয়ান ফরেস্টের বিধ্বংসী ব্যাটিং ও নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় রাজশাহীতে ১০ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো স্বাগতিকদের।
আজ রাজশাহীর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দল শুরুতে কিছুটা বিপদে পড়ে। ৩০ রানে দুই ওপেনারকে হারালেও, এরপর দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এন্ডেল চার্লস ও কনোর বয়েড। তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১৩৭ রানের জুটি। এন্ডেল করেন ৫৫ রান, আর বয়েড মাত্র ৬৮ বলে ৯১ রানের ঝলক দেখান।
শেষের দিকে স্কোরবোর্ডে গতি আনেন ডিয়ান ফরেস্ট। টাইগার বোলারদের উপর তাণ্ডব চালিয়ে মাত্র ৫৯ বলে ৯৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছে যায় ৩৩২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরে। বাংলাদেশের পক্ষে রিপন মণ্ডল, মারুফ মৃধা ও মাহফুজুর রাব্বি নেন ২টি করে উইকেট।
লক্ষ্য বিশাল হলেও বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হয় হতাশাজনকভাবে। মাত্র ১০ রানে বিদায় নেন আগের ম্যাচের সেরা ব্যাটার মাহফিজুল ইসলাম রবিন। তবে ওপেনার জিশান আলম ৩৪ বলে ঝড়ো ৫০ রানে কিছুটা চাঙা করেন ড্রেসিংরুম। কিন্তু মিডল অর্ডারে রায়হান রাফসান (৯) ও আরিফুল ইসলাম (৩৫ রান, ৫৯ বল) উইকেট ধরে রাখতে পারলেও খেলেন অনেক ডট বল, চাপ বাড়ে দলের ওপর।
এর মাঝে একমাত্র উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ছিলেন অধিনায়ক আকবর আলি। ১১০ বলে গড়া ১৩১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস একসময় বাংলাদেশকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাঁর বিদায়ের পর দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলে দল। শেষ ওভারের আগে সবকটি উইকেট হারিয়ে থামে ৩২২ রানে, জয় থেকে ১০ রান দূরে।
প্রোটিয়াদের হয়ে অ্যান্ডিলে সিমেলানে ছিলেন দুর্দান্ত, নেন ৫টি মূল্যবান উইকেট। ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে এই হারে এখন ১-১ এ সমতা।
Discussion about this post