সিরিজের শেষ ম্যাচেও জয়ের পথে ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ভালো স্কোরের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল দলটি। কিন্তু আবহাওয়ার রোষে সেই সম্ভাবনায় বাধা পড়ে। বৃষ্টিতে ভেসে যায় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ষষ্ঠ ও শেষ যুব ওয়ানডে। তবে আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল সিরিজ জয়-প্রথম পাঁচ ম্যাচে ৩টি জয় তুলে নেওয়ায় সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুরুর ধাক্কা সামলে ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। দলীয় চাপে যখন প্রয়োজন ছিল স্থিরতা ও দৃঢ়তার, তখন তিনিই হয়ে উঠলেন আস্থার প্রতীক। ১১১ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ব্যাটিং।
মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়া আজিজুল সিরিজজুড়ে ছিলেন ধারাবাহিক। ছয় ম্যাচে ৭০.২৫ গড়ে করেছেন ২৮১ রান। সেঞ্চুরি না পেলেও, নেতৃত্বগুণে এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে তিনি হয়ে উঠেছেন দলের প্রেরণা।
যার ব্যাটে সিরিজের শুরুতে রীতিমতো আগুন ঝরেছিল, সেই জাওয়াদ আবরার শেষ দুই ম্যাচে ছিলেন নিষ্প্রভ। বৃহস্পতিবার মাত্র ৭ বল খেলে ফিরেছেন শূন্য রানে। এরপর অবশ্য কালাম সিদ্দিকির ৩১ রানের ইনিংস ও আজিজুল-রিজানের ১০৮ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দল। অপরাজিত ছিলেন রিজান হোসেন, ৬৪ বলে ৪৮ রান করে। তার ব্যাটিংয়ে ছিল আত্মবিশ্বাস ও গতির মিশেল। ইনিংস আরও বড় হতে পারত, যদি না বৃষ্টি এসে সব থামিয়ে দিত।
৩৯.১ ওভারে বাংলাদেশ করেছিল ১৮৮ রান, উইকেট পড়েছিল মাত্র তিনটি। খেলা চলছিল নিয়ন্ত্রিত গতিতে, বড় স্কোরের সম্ভাবনাও ছিল। কিন্তু আজিজুলের আউটের কিছুক্ষণ পর শুরু হয় বৃষ্টি, যা আর থামেনি।
শেষ ম্যাচ না হলেও, সিরিজ জয়ের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা ছিল না। আগেই ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সিরিজে বাংলাদেশের দুই ব্যাটার আজিজুল ও জাওয়াদ ছিলেন উজ্জ্বল। জাওয়াদ ৩০২ রান তুলে সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
Discussion about this post