সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে হালকা হলেও আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক। মেহেদি হাসান মিরাজের ঘূর্ণি জাদুতে আগেই থমকে গেছে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
আজ দিনের শুরুটা ছিল বোলারদের দাপটে। আগের দিনের তুলনায় অনেক বেশি মগ্নতা আর ছন্দ নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। নাহিদ রানা প্রথম ধাক্কাটা দেন, বেন কারানকে ফিরিয়ে ভাঙেন ওপেনিং জুটি। এরপর ব্রায়ান বেনেট ও ক্রেইগ আরভিনকেও ফেরান তিনি। সেই সঙ্গে হাসান মাহমুদের বলেও ফেরেন এক ব্যাটার।
দ্বিতীয় সেশনে জিম্বাবুয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। শন উইলিয়ামস আর ওয়েসলি মাধেভেরে ৪৮ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তুললেও সেটা বেশি দূর এগোয়নি। উইলিয়ামস আউট হন ৫৯ রানে, মাধেভেরে ফেরেন ২৪ রানে।
শেষ সেশনে মাঠে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ, আর যেন ঠিক তখনই শুরু হয় আসল নাটক। অসাধারণ স্পিন বোলিংয়ে শেষ চারটি উইকেট একাই তুলে নেন তিনি। ৫২ রান দিয়ে তুলে নেন ৫ উইকেট, যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম পাঁচ উইকেটের কীর্তি। এর সঙ্গে নাহিদ রানা পান ৩ উইকেট এবং খালেদ-হাসান ভাগ করে নেন একটি করে উইকেট।
জিম্বাবুয়ের ইনিংস থামে ২৭৩ রানে। এতে প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা স্বস্তিদায়ক ছিল না। সাদমান ইসলাম আবারও ব্যর্থ হন, ৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে। তবে এরপর জয় ও মুমিনুল ধৈর্য ধরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। জয় পেয়েছেন দুইবার জীবন, একবার উইকেটরক্ষকের মিস, আরেকবার চতুর্থ স্লিপে হাত না লাগা কঠিন ক্যাচ। তবে এই সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে দিন শেষ করেন ২৮ রানে অপরাজিত থেকে।
দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩ ওভারে ৫৭/১। তারা এখনো পিছিয়ে ২৫ রানে। জয় ও মুমিনুলের ব্যাটে আশা দেখছে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৯১/১০
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৭৩/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১৩ ওভারে ৫৭/১ (সাদমান ৪, জয় ২৮*, মুমিনুল ১৫*; নিয়াউচি ৫-২-১১-০, মুজারাবানি ৪-০-২১-১, এনগারাভা ৪-০-২০-০)
Discussion about this post