১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তারকাদের একজন সাকিব আল হাসান। কিন্তু সেই সাকিব এখন মাঠের বাইরে। রাজনীতি, বিতর্ক, এবং সময়ের নানা মোড়ে তিনি হয়ে পড়েছেন ব্রাত্য।
তবে সাকিব হাল ছাড়ছেন না। দেশের মাটিতে বিদায়ী ম্যাচ খেলার স্বপ্ন এখনও তাড়া করে তাঁকে। চান, জাতীয় দলের জার্সিতে শেষবার মাঠে নামতে। চাইলেই তো হয় না-তার জন্য প্রয়োজন বোর্ডের অনুমতি, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, এবং রাজনৈতিক দূরত্ব।
এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় ইচ্ছা দেশের হয়ে খেলে বিদায় নেওয়া। আমি বিশ্বাস করি, এখনও ১-২ বছর খেলতে পারি।’
গত বছর দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় বিদেশে পারিবারিক সফরে থাকার জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সাকিব। সেই সময়ের ছবি ভাইরাল হলে তৈরি হয় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। এখন সেই সময়কে নিজের ভুল হিসেবে মেনে নিচ্ছেন তিনি, ‘পাবলিক ফিগার হিসেবে আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল। দুঃখিত আমি, দায় নিচ্ছি।”
রাজনীতি নিয়ে কোনো উচ্চাশা নেই তার, এমনটাই দাবি সাকিবের, ‘রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার জন্য কেউ আমাকে বলেনি। সব সময় শুধু বলা হয়েছে—ক্রিকেট খেলো।’
তবে মাঠে ফেরার পথে বাধা শুধু সিদ্ধান্ত নয়, আছে নিরাপত্তা ও মামলার জটিলতাও। তার ভাষায়, ‘আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে আমি দেশে ফিরব। আমার নামে মামলা হয়েছে, অথচ বাদী জানেই না আমি ওই মামলায় আছি!’
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে আগেই অবসর নিয়েছেন সাকিব। ওয়ানডেতেও শেষবার দেখা গেছে ২০২৩ বিশ্বকাপে। এরপর আর জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামা হয়নি।
তবে বিদায়ী মুহূর্তটা তিনি নিজের মতো করে চান। বোর্ডের কাছে তাই অনুরোধ, একটু সহযোগিতা যেন আসে উপরের মহল থেকেই।
শেষ পর্যন্ত সাকিব ফিরতে পারবেন কিনা—তা সময় বলবে।
Discussion about this post