টানা চার জয়ের পর আগের ম্যাচে থেমেছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। তবে চেনা ছন্দে ফিরতে সময় লাগল না সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে ফের উড়ল মাশরাফি বিন মর্তুজা-শুভাগত হোমের দল। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে অনায়াসে হারাল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ঝড় বইয়ে দেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের শামীম হোসেন পাটোয়ারী। দুইশ স্ট্রাইকরেটে ৪৩ বলে ৮ ছক্কা ও ৬ চারে খেলেন ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাতে পারটেক্সের দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্য একরকম হেসেখেলেই পেরিয়ে যায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। তৌফিক খান তুষারও ছিলেন দারুণ ছন্দে। তার ব্যাটেও দেখা গেল ঝলমলে হাফসেঞ্চুরি ছাড়ানো ইনিংস!
ফতুল্লায় এদিন শুরুতে বল করতে নেমে ব্যাটারদের কাজটা সহজ করে যায় রূপগঞ্জের বোলাররা। মাশরাফি অবশ্য এদিন কোনো উইকেট পাননি। তবে ঠিকই পারটেক্সের রানের লাগাম টেনে ধরেন। ৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করেন মাত্র ৩০ রান। রূপগঞ্জ বোলারদের মধ্যে ৩টি উইকেট তুলে নেন শুভাগত হোম ও শহিদুল ইসলাম।
লিজেন্ডস বোলারদের দিনে পারটেক্স অধিনায়ক মিজানুর রহমান একাই লড়াই করেন। ৮৮ রান করেন তিনি। ৯১ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় মিজানুর ইনিংসটি সাজান তিনি। ৪৭.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে তুলে ১৯১ রান। বল হাতে রূপগঞ্জের সেরা স্পিনার শুভাগত হোম। ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন। পেসার শহীদুল ইসলাম ২৯ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন। ১টি করে উইকেট নেন আল-আমিন হোসেন ও আব্দুল হালিম।
জবাবে নেমে ওপেনার ইমরানুজ্জামান ১২ রানে সাজঘরে ফিরলেও দারুণ ব্যাট করেছেন তৌফিক খান তুষার ও শামীম পাটোয়ারী। দু’জনেই ছিলেন বেশ আগ্রাসী। তুষার ৬৬ বলে ৮৩ রান করে আউট হলেও শেষ পর্যন্ত থামানো যায়নি শামীম পাটোয়ারীকে। ৮ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান তৌফিক।
এরপর আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ৭ উইকেটের বড় জয় এনে দেন শামীম। মাত্র ২৫.৩ ওভারে ম্যাচ জিতে যায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ম্যাচসেরা শামীম।
চলতি ডিপিএলে ছয় ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের এটি পঞ্চম জয়। পারটেক্স ছয় ম্যাচ খেলে হেরেছে পাঁচটিতেই!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৭.২ ওভারে ১৯১/১০ (মিজানুর ৮৮, তানভির ৩৬; শুভাগত ৩/২৪, শহিদুল ৩/২৯)
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ২৫.৩ ওভারে ১৯৫/৩ (তুষার ৮৩, শামীম ৮৬*; রাকিবুল ২/৪০)
ফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
Discussion about this post