জয়ের সুবাস পাচ্ছিল মেয়েরা। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন! হাতে ৫ উইকেট, ১২ বলে ১৪ রান, সেটিই যে করা হলো না। দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি ম্যাচে বোলিংটা দুর্দান্ত হয়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। ভারতের মতো মহা শক্তিশালী দলকে ৯৫ রানে আটকে রাখে। কিন্তু তারপরও হিসাব মিলল না। ১২০ বলে করতে হতো ৯৬ রান, সেটিই হলো না! ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৮৭ রানে আটকে যায় স্বাগতিকরা। ৮ রানের হারে সিরিজ হাতছাড়া!
শেষ ১২ বলে বাংলাদেশ হারায় ৫ উইকেট। এই ১২ বলে জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৪ রান। সেই সমীকরণ মিলল না। অলআউট হয়ে যায় ৮৭ রানে।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান তুলে ভারত। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৪ সালে কক্সবাজারে ১ উইকেটে ১০১ ছিল আগের সর্বনিম্ন।
নিগার সুলতানা ৫৫ বলে ৩৮ রান ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পারেননি কোন ব্যাটার। ভারতের ৮ উইকেটের ৭টিই নেন বাংলাদেশের চার স্পিনার। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন স্পিনার সুলতানা খাতুন। ফাহিমা খাতুন ১৬ রানে ২ উইকেট নেন।
দলীয় ৮৬ রানের মাথায় নিগার সুলতানা আউট হওয়ার পর ৮৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ ৫টি উইকেট তারা হারায় মাত্র ১ রানে। নিগার ছাড়া বাকিদের রান ছিল ৫,৫,৪,৪,৭,৬,০,০,০,০। অতিরিক্ত খাত থেকে ১৮ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত: ২০ ওভারে ৯৫/৮ (স্মৃতি ১৩, শেফালি ১৯, জেমিমা ৮, হারমানপ্রিত ০, ইয়াস্তিকা ১১, হারলিন ৬, দীপ্তি ১০, আমানজত ১৪, পূজা ৭, মানি ২; মারুফা ৪-০-২৮-১, নাহিদা ৪-০-১৪-১, সুলতানা ৪-০-২১-৩, ফাহিমা ৪-০-১৬-২, রাবায়ে ৪-০-১৬-১)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ৮৭/১০ (সাথী ৫, শামিমা ৫, মুর্শিদা ৪, নিগার ৩৮, রিতু ৪, স্বর্ণা ৭, নাহিদা ৬, রাবেয়া ০, সুলতানা ০*, ফাহিমা ০, মারুফা ০; পুজা ১-০-১০-০, মানি ৪-১-৯-২, দীপ্তি ৪-০-১২-৩, বারেড্ডি ৪-০-২০-১, শেফালি ৩-০-১৫-৩, জেমিমা ৪-০-১৮-০)
ফল: ভারত ৮ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: দীপ্তি শর্মা
Discussion about this post