কম পুঁজি নিয়েও বেশ লড়ল বাংলাদেশ। ডেভিড মালান বাধা হয়ে না দাঁড়ালে ম্যাচটা তো জিততেই পারতো টাইগাররা। কিন্তু শেষটাতে এসে মিলল না সমীকরণ। যদিও ২১০ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ইংল্যান্ডের বাকি ব্যাটসম্যানদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
একা মালান সর্বনাশ করে দিলেন। ১১৪ রানের দারুণ ইনিংসে বাংলাদেশের জয় কেড়ে নিলেন তিনি।
মালানের ১৪৫ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটিতে জয়ের স্বপ্ন ভাঙে বাংলাদেশের। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যধানে পিছিয়ে বাংলাদেশ দল। খাদের কিনারা থেকে দলকে তুলে ৩ উইকেটে অসাধারণ এনে দেন তিনি। বুধবার মিরপুরের শেরেবাংলায় ৮ বল আগে পাওয়া জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে ১৪৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করে দুইয়ে উঠল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
অথচ মালান ছাড়া অন্য ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের বেশ চেপে ধরেছিল টাইগাররা। জেসন রয় (৪), সল্ট (১২), ভিঞ্চ (৬), বাটলার (৯) ড্রেসিংরুমে ফিরে যান চটজলদি।
বল হাতে সফল তাইজুল ইসলাম। ৫৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট নেন তিনি। মুস্তাফিজুর রহমান হতাশ করেন, ৮ ওভারে ৪২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সফল নাজমুল হাসান শান্ত। ৮২ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান তুলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশ তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান পায় অতিরিক্ত থেকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৪৭.২ ওভারে ২০৯/১০ (তামিম ২৩, লিটন ৭, শান্ত ৫৮, মুশফিক ১৬, সাকিব ৮, মাহমুদউল্লাহ ৩১, আফিফ ৯, মিরাজ ৭, তাসকিন ১৪, তাইজুল ১০, মুস্তাফিজ ০; ওকস ৮-০-২৮-১, আর্চার ১০-০-৩৭-২, উড ৮-০-৩৪-২, মইন ৭.২-০-৩৫-২, রশিদ ৯-০-৪৭-২, জ্যাকস ৫-০-১৮-১)
ইংল্যান্ড: ৪৮.৪ ওভারে ২১২/৭ (রয় ৪, সল্ট ১২, মালান ১১৪, ভিন্স ৬, বাটলার ৯, জ্যাকস ২৬, মইন ১৪, ওকস ৭, রশিদ ১৭; সাকিব ১০-০-৪৫-১, তাসকিন ৯-১-২৬-১, তাইজুল ১০-০-৫৪-৩, মিরাজ ১০-২-৩৫-২, মুস্তাফিজ ৮-০-৪২-০, শান্ত ১-০-৩-০)
ফল: ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ১-০তে এগিয়ে।
ম্যাচসেরা: ডেভিড মালান।
Discussion about this post