ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অ্যাডিলেইড ওভালে ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে কোয়ার্টার-ফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে জন্ম হয় নানা বিতর্কের। সেই থেকে বাংলাদেশ-ভারত লড়াই পেয়ে যায় নতুন মাত্রা।
২০১৫ বিশ্বকাপের সেই ইতিহাস গড়ার মঞ্চে আবার ফিরেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ভারত। কিন্তু উত্তেজনা বলতে গেলে উধাও। প্রতিপক্ষকে পরিস্কার ফেভারিট ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অকপট বক্তব্য, বাংলাদেশ ভারতকে হারালে তা হবে অঘটন।
অ্যাডিলেইড ওভালে বুধবার বাংলাদেশ-ভারত লড়াই শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়। অ্যাডিলেইড সময় তখন হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা, এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের একমাত্র রাতের ম্যাচ।
২০১৫ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচের পর এই প্রথম অ্যাডিলেইডে খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের প্রভাব এতটাই তীব্র যে সাকিব পর্যন্ত প্রেরণার উৎস করে নিলেন ৭ বছর আগের স্মরণীয় সেই জয়কে।
“ওই দলের থেকে মনে হয় শুধু আমি আর তাসকিন আছি। অবশ্যই ভালো স্মৃতি। ভালো স্মৃতিগুলো সবসময়ই অনুপ্রেরণা জোগায়। আশা করি যে ওই স্মৃতি আমাদের মানসিকভাবে একটু সাহায্য করে।”
অতীতের প্রেরণা যেমন আছে, মানসিকভাবে চাঙা থাকার সাম্প্রতিক উপকরণও আছে বাংলাদেশ দলের জন্য। সবশেষ ম্যাচের জয়!
যদিও সেই জয় ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ভারতের বিপক্ষে লড়াই আরও অযুত গুণে কঠিন। সেই ম্যাচে চাপের লড়াইয়ে উতরে গেছে দল, সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে তা সাহস জোগাচ্ছে অধিনায়ককে, “যে কোনো ম্যাচ জিতলে অবশ্যই ভালো লাগে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই শেষ বা তার আগের ওভারে ম্যাচের ফল চূড়ান্ত হয়। যেহেতু অল্প সময়ের খেলা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি হয়, তাই এখানে ক্লোজ ম্যাচই বেশি হবে। এসব মুহূর্তে নার্ভ ধরে রাখতে পারাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আগে যেটা হচ্ছিল, আমরা ক্লোজ ম্যাচগুলো হেরে যাচ্ছিলাম। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো আমরা শিখছি। আমি বলবো না যে শিখে গেছি। তবে একটু তো উন্নতি আছেই। যেখানে আগে ক্লোজ ম্যাচগুলো গেলেই আমরা হেরে যেতাম। এখন জেতা শুরু করেছি।”
বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর আগে সাকিব বলেছিলেন, নিজেদের সেরা বিশ্বকাপ সাফল্যের লক্ষ্য তাদের। প্রথম তিন ম্যাচের দুটি জিতেই সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। যদিও জয় দুটি নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, তারপরও তো সেরা সাফল্য!
পরের দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিয়েই সাকিবের আশা, আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ের মতো কোনো চমক দেখানোর,“পরবর্তী লক্ষ্য হলো দুটি ম্যাচ খুব ভালোভাবে খেলা। দুটি ম্যাচের কোনো ম্যাচও যদি জিততে পারি, সেটা আপসেট হিসেবে গণ্য হবে। সেই আপসেটটা করতে পারলে আমরা খুশি হব। না করতে পারলে বেশি কিছু বলার নেই। দুই দলই কাগজেকলমে আমাদের চেয়ে ভালো। তবে আমরা যদি ভালো খেলি, আমাদের যদি দিন থাকে, তাহলে কেন পারব না! এই বিশ্বকাপেই আমরা দেখেছি আয়ারল্যান্ড হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে, জিম্বাবুয়ে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। ওরকম একটা রেজাল্ট হলে অবশ্যই আমরা খুশি হব।”
ভারতের সঙ্গে নিজেদের পার্থক্য যে অনেক, তা সুস্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, “ভারত ফেভারিট দল। তারা এখানে বিশ্বকাপ জিততে এসেছে। আমরা ফেভারিট নই, বিশ্বকাপ জিততে এখানে আসিনি। পরিস্থিতি বুঝতেই পারছেন। আমরা ভালো করেই জানি, ভারতের বিপক্ষে জিতলে এটি আপসেট হবে। আমরা চেষ্টা করব, সেরা খেলাটি খেলতে এবং আপসেট ঘটাতে।”
আবহাওয়া বাগড়া দিতে পারে ম্যাচেও। পূর্বাভাস বলছে, বুধবার দিনের বেলা রোদ থাকলেও সন্ধ্যা থেকেই আকাশ মেঘলা হতে পারে। বৃষ্টির শঙ্কা আছে শতকরা ৬০ শতাংশ।
Discussion about this post