একদিন আগেই খুশির খবর শুনিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আসছে চার বছরে ম্যাচের কমতি নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) চূড়ান্ত করেছে। এই চার বছরের চক্রে বাংলাদেশ খেলবে মোট ২৭ সিরিজ। টাইগারদের সামনে ৩৪ টেস্ট, ৫৯ ওয়ানডে ও ৫৭ টি-টুয়েন্টি। সঙ্গে আইসিসি-এসিসির টুর্নামেন্ট তো আছেই।
২০২৩ সালের মে মাসে শুরু হতে যাওয়া এই চক্রে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে সবচেয়ে বেশি দেড়শ ম্যাচ পাচ্ছে বাংলাদেশ। এই খবরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খুশি আবার একইসঙ্গে চিন্তিতও। কারণ দেশে বিদেশে একের পর এক সিরিজ খেলে ভ্রমণ ক্লান্তি তৈরি হবে। সঙ্গে থাকবে ইনজুরি, চোটের ভয়। যা খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব পড়বে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘দেখুন, ২০২৩-২০২৭ এফটিপি বাংলাদেশের জন্য ভালো সুখবর এনেছে। আমরা সবগুলো দলের বিপক্ষে ভালো পরিমাণে ম্যাচ পেয়েছি। বিসিবি সব সময়ই বিশ্বাস করে, এফটিপি হচ্ছে আন্তর্জাতিক দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে ম্যাচ ভাগাভাগি করার প্রক্রিয়া। আমরা নতুন এফটিপিতে বেশি ম্যাচ পাওয়ায় খুশি। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই চেয়েছিলাম বড় দলগুলো বিপক্ষে আমরা যেন নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই। এবার সেটা হয়েছে। এতে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক উন্নতির দুয়ার খুলে গেছে।’
এখানেই শেষ নয়, সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় সিরিজের বাইরে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট, মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটও খেলতে হবে সাকিব আল হাসানদের। তারা কি সেই চাপ নিতে পারবেন?
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, ‘এফটিপি যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যে পরিমাণে খেলা আছে, আমার মনে হয় এখন আমাদের দুঃশ্চিন্তার বিষয় খেলবো কীভাবে? এত ম্যাচ খেলা আসলেও কঠিন। এত বেশি ম্যাচ খেলবো কীভাবে?’
আগামী চার বছরে দেশের মাঠে বাংলাদেশের ম্যাচ ৭৬টি, বাইরে ৭৪টি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২১ ম্যাচ খেলবে। ২ টেস্টের সঙ্গে আছে ৯ ওয়ানডে ও ১০ টি-টুয়েন্টি।
Discussion about this post