জিম্বাবুয়ে সফরে সুসংবাদ মিলছে না। টি-টুয়েন্টি সিরিজে হারের পর প্রিয় ফরম্যাটে ওয়ানডেতেও পথ হারাল বাংলাদেশ। শুক্রবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনশ ছাড়ানো স্কোর করেও হতাশায় ডুবল দল। সঙ্গে আরেক দুঃসংবাদ- লিটন দাসেরও জিম্বাবুয়ে সফর শেষ। এ অস্থায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দুই ম্যাচ বাকি থাকতে ব্যাটসম্যান নাইম শেখ ও পেসার ইবাদত হোসেনকে দলে নিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন এই খবর। জানান, ওপেনার লিটন দাস ছিটকে যাওয়াতে তার পরিবর্তে নাঈমকে নেওয়া হচ্ছে। প্রথম ম্যাচে পেসার শরিফুলও ইনজুরিতে পড়েছেন, এই ভাবনায় ইবাদতকে জিম্বাবুয়েতে নিল বোর্ড।
২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক নাঈমের। আর সবশেষ ওয়ানডে খেলেন ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ২০২১ সালে। যেখানে নাঈম করেন মাত্র ১ রান। তারপরও ডাক মিলল দলে। ইবাদত ওয়ানডে দলে এর আগে ডাক পেলেও অভিষেক হয়নি।
শনিবার রাত ৭টা ৪৫ মিনিটের ফ্লাইটে তাদের জিম্বাবুয়ের পথে দেশ ছাড়ার কথা। রোববার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে শুরু হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। এই ম্যাচে তাদের খেলার সম্ভাবনা নেই তাদের। মনে হচ্ছে শেষ ম্যাচের জন্যই তাদের নিয়ে গেল বোর্ড।
ঢাকা ছাড়ার আগে যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন এবাদত। দলে ডাক পেয়ে বিস্মিত তিনি। বলেন, ‘একটু অবাক করার মতো। ইনশাআল্লাহ্ দেশের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। সুযোগ পেলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। আমি অনুশীলনের মধ্যে আছি। অনুশীলনের মধ্যে না থাকলে মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকতাম। তাই আত্মবিশ্বাস ভালো আছে।’
এমনিতে এবাদত টেস্ট স্পেশালিষ্ট। এবার ডাক পেলেন ওয়ানডে দলে। এই পেসার বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে এইচপির বিপক্ষে খেলার জন্য খুলনায় ছিলাম। ওখানে সাদা বলের জন্য গিয়েছিলাম। তাই সাদা বলের অনুশীলনটাই করে এসেছি। গতকাল রাতে কল আসে- জাতীয় দলে যোগ দিতে হবে। শুনে খুব খুশি হয়েছি। প্রথমে যাওয়ার কথা ছিল, যাওয়া হয়নি, মাঝখানে যাচ্ছি।’
সঙ্গে আরও বলেন , ‘গত ২ বছর ধরে পেস বোলিং ইউনিট উন্নতির চেষ্টা করছে। তাসকিন, মুস্তাফিজ, শরিফুল, আমি, খালেদ- সবাই ভালো করছে। আমরা হাল ছাড়ব না। উন্নতির গ্রাফ আরো ওপরের দিকে নিয়ে যেতে চাই। এখন পর্যন্ত কারো সাথে কথা হয়নি। তামিম ভাইয়ের সাথে সিরিজের আগে কথা হয়েছে। উনি অনেক প্রেরণা দিয়েছেন।’
Discussion about this post