এমনিতেই প্রিয় ফরম্যাট। সঙ্গে আবার প্রিয় প্রতিপক্ষ। মনে হচ্ছিল অনায়াসেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু কিসের কী! টি-টুয়েন্টি সিরিজ হারের পর ওয়ানডেতেও একই দৃশ্যপট। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের সামনে নাকাল তামিম ইকবালের দল। বিস্ময়কর হলেও সত্য টাইগারদের বড় সংগ্রহ টপকে অনেকটা অনায়াসেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
অথচ বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যেন জিততেই ভুলে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। সেই ২০১৩ সালের পর আর কোনো ওয়ানডেতে টাইগারদের আর হারাতে পারেনি। অনেক অপেক্ষা শেষে নিজেদের মাঠে পেয়ে ঠিকই জয় তুলল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা ১৯ ওয়ানডে হারার পর এসেছে তাদের এই জয়!
ইতিহাস জানাচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের জয়টি ছিল বুলাওয়ায়োতে। ২০১৩ সালের মে মাসে এসেছিল সেই জয়। এবার সিকান্দার রাজার হাত ধরে হাসিমুখ তাদের। রাজা জয়ের নায়ক। ৮ চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ১০৯ বলে ১৩৫ রানে। অথচ প্রথম দুই ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর হারের মুখে ছিল তারা। মনে হচ্ছিল সহজেই জিতবে বাংলাদেশ। কিন্তু ইনোসেন্ট কাইয়া ও ওয়েসলি মাধেভেরের ৫৬ রানের জুটিতে পথে ফেরে স্বাগতিকরা। তারপর কাইয়া ও রাজার ১৯২ রানের রেকর্ড গড়া জুটিতে ধরা দিল জয়।
ম্যাচে ভাল ব্যাটিংকেরলেও বাংলাদেশের বোলিং ছিল সাদামাটা। ফিল্ডিং আরও খারাপ। সেঞ্চুরির আগে ২ বার জীবন পান কাইয়া। সেঞ্চুরির পর আরেকবার। রাজা সহজ ক্যাচ তুলেও বাঁচেন সেই ৪৩ রানে। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো জিম্বাবুয়ে।
এর আগে শুক্রবার দিনের শুরুতে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে চার ফিফটিতে বাংলাদেশ তুলে ২ উইকেটে ৩০৩ রান। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে তামিম-লিটনের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ১১৯ রান। ৬২ রান করেন তামিম। এদিনই ওয়ানডেতে ৮ হাজারি ক্লাবে পা রাখেন। দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কৃতিত্ব তার।
লিটন দাস ৮১ রানে মাঠ ছাড়েন স্ট্রেচারে করে। অবসর নেন তিনি। ৭ বছর ৮ মাস পর ফিফটির দেখা পান এনামুল হক বিজয়। ফেরেন ৭২ রানে। মুশফিক-মাহমুদউলাহ জুটি ২৫ বলে ৩৬ রান যোগ করেন।মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৫২ রানে। মাহমুদউল্লাহ ১২ বলে ২০ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০৩/২ (তামিম ৬২, লিটন আহত অবসর ৮১, এনামুল ৭৩, মুশফিক ৫২*, মাহমুদউল্লাহ ২০*; এনগারাভা ১০-১-৬১-০, নিয়াউচি ১০-১-৭০-১, মাসাকাদজা ৫-০-৩১-০, জঙ্গুয়ে ১০-০-৫৬-০, বার্ল ১.১-০-৮-০, শুম্বা ৪.৫-০-২৭-০, রাজা ৯-০-৪৮-১, মাধেভেরে ১-০-৫-০)।
জিম্বাবুয়ে: ৪৮.২ওভারে৩০৭/৫ (চাকাভা২, মুসাকান্দা ৪, কাইয়া ১১০, মাধেভেরে ১৯, রাজা ১৩৫*, জঙ্গুয়ে ২৪, শুম্বা ১*; মুস্তাফিজ ৯-০-৫৭-১, শরিফুল ৮.৪-০-৫৭-১, তাসকিন ১০-১-৫২-০, মিরাজ ১০-০-৫৯-১, মোসাদ্দেক ৯.২-০-৬৭-১, মাহমুদউল্লাহ ১.২-০-১২-০)।
ফল: জিম্বাবুয়ে ৫ উইকেটে জয়ী
Discussion about this post