ইনিংসের শুরুতেই তার হাতে বলে দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকে। যেখানে আগের ম্যাচেই হেরেছে দল, সেখানে এমন চ্যালেঞ্জ। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা রাখলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বল হাতে ঘূর্ণি জাদুতে তছনছ করলেন জিম্বাবুয়েকে। গড়লেন রেকর্ড।
রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে বল হাতে ম্যাজিক দেখালেন মোসাদ্দেক। টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট নিলেন মোসাদ্দেক। অফ স্পিনার মোসাদ্দেকের আগে পেয়েছিলেন ইলিয়াস সানি, সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান।
টি-টুয়েন্টিতে এর আগে কোনো ম্যাচে ২ উইকেটের বেশি ছিল না মোসাদ্দেকের। সেই বোলারটি এবার চার ওভারের টানা স্পেলে ২০ রানে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। ক্যারিয়ারের প্রথমবার ৫ উইকেট পেলেন মোসাদ্দেক। ইনিংসের প্রথম বলেই স্বাগতিক ওপেনার রেজি চাকাভাকে ফেরান মোসাদ্দেক। সেই ওভারের শেষ বলে আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করা মাধেভেরেকে ৪ রানে আউট করেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফের মোসাদ্দেকের আঘাত। ওভারের তৃতীয় বলে স্বাগতিক অধিনায়ক ক্রেইগ এরভিনকে মাত্র ১ রানে সাজঘরে ফেরান। নিজের তৃতীয় ওভারে অভিজ্ঞ উইলিয়ামসকে আউট করেন। নিজের শেষ ওভারে এসে পঞ্চম উইকেট নেন মোসাদ্দেক। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে ইলিয়াস সানি, সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানের পর চতুর্থ বোলার হিসেবে এ কীর্তি গড়লেন মোসাদ্দেক।
এর আগে ৩ ওভারে ১৪ রানে তুলেন ৪ উইকেট। এটি করেই বাংলাদেশের হয়ে একটা রেকর্ড গড়ে ফেলেন মোসাদ্দেক। বাংলাদেশের কোনো ডানহাতি স্পিনারের জন্য টি-টুয়েন্টিতে এখন এটিই সেরা বোলিং। এর আগের রেকর্ডটি ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ১০ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি।
সেই রিয়াদকে বিশ্রাম দিয়ে এবার নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকে। অধিনায়ক হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেও টস ভাগ্য সঙ্গে থাকল না তার। তবে এনিয়ে আক্ষেপটা মুছে দিয়েছেন সৈকত। তার বলেই তো দাপট বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিততে বাংলাদেশের চাই ১৩৬ রান। শেষ অব্দি ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে থামে জিম্বাবুয়ে।
Discussion about this post