টেস্ট আর টি-টুয়েন্টিতে হতাশা সঙ্গী হলেও ওয়ানডে ক্রিকেটে বেশ দাপটই দেখাল বাংলাদেশ দল। শনিবার সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলার আগে অবশ্য চোখ সামনে বিশ্বকাপে রাখছেন রাসেল ডমিঙ্গো। বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের মূল পর্বে দলের জয় খরা কাটিয়ে টথ খুঁজে নিতে চান।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন অব্দি ৩৩ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ৭টি ম্যাচে। তার মধ্যে ৬টি জয়ই প্রাথমিক পর্বে। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় বাংলাদেশ। তারপর মূল পর্বে জয় অধরা হয়েই আছে। এবার সেই বাঁধার প্রাচীর টপকাতে চায় টাইগাররা।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় হবে টি-টুয়েন্টি। যেখানে সরাসরি দ্বিতীয় পর্বে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এবার শুরুতেই প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো জায়ান্ট দল। লড়াইটা সহজ হবেনা বলাই যায়! প্রস্তুতিতে হাতে সময় মাত্র তিন মাস।
রাসেল ডমিঙ্গো গায়ানায় গণমাধ্যমের সঙ্গে বলেন, ‘টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই মুহূর্তে মূল প্রায়োরিটি সেখানেই। পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ ১৫ মাস বা এক বছরের বেশি সময় পর অনুষ্ঠিত হবে। সেটার জন্য হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে। আর টি-টোয়েন্টিতে তিন মাস। ওয়ানডে বিশ্বকাপের মাঝের সময়ে অনেক কিছুর পরিবর্তন আসতে পারে যেহেতু দীর্ঘ সময় হাতে আছে। আমরা পর্যাপ্ত ম্যাচও খেলবো। এখন আমাদের মনোযোগ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে দেয়া উচিত। আমাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বীতপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে হবে। আমরা শেষ কয়েক বছর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচে জয় পাইনি। সেখানে গিয়ে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচ খেলতে হবে। চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। আমরা কয়েকটি ম্যাচ জিততে নিশ্চয়ই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকবো। নিশ্চিতভাবেই আমরা সহজে হাল ছেড়ে দেব না।’
সঙ্গে ডমিঙ্গো আরও বলেন, ‘ছেলেদের জন্য একটা কথাই, ভালো মানের ক্রিকেট খেলতে হবে। এটাই বটম লাইন। আমাদের ভালোমানের সামর্থ্যবান ক্রিকেটার আছে। ভালোমানের বোলিং অ্যাটাকও রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে আপনাকে বিশ্বকাপের চাপ গ্রহণ করতে হবে। যেটা সব সময়ই চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো ক্রিকেট পাগল দেশের কারণে খেলোয়াড়রা সেই চাপ অনুভব করতে পারেন। সেই চাপের মুহূর্ত যদি গ্রহণ করে সামলে নেওয়া যায়, গণমাধ্যমের চাপ, গণমানুষের চাপ। সেসব সামলে নিতে পারলেই এবং নিজেদের শান্ত রেখে, শতভাগ মনোযোগী থেকে, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট মুহূর্তে একটি বল নিয়েই চিন্তা করলেই ভালো করা সম্ভব আমাদের।’
আগামী ১৬ অক্টোবর শুরু হবে এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ।
Discussion about this post