সময়টা ভাল যাচ্ছিল না অনেক দিন ধরেই! নেতৃত্বটা উপভোগ করতে পারছিলেন না অনেক দিন ধরেই। সঙ্গে ব্যাট হাতে দুঃসময় তো ছিলই। এই চাপ নিতে পারছিলেন না মুমিনুল হক। তাইতো সরে দাঁড়ান টেস্ট নেতৃত্ব থেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নির্ভার হয়েই খেলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে সুপার ফ্লপ। তাইতো জায়গা হারালেন মুমিনুল।
নেতৃত্ব ছাড়ার এক ম্যাচ পরই দল থেকে বাদ তিনি। টানা ৩২ ম্যাচ খেলার পর অবশেষে দল থেকে বাদ মুমিনুল। এনিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় দল থেকে ছিটকে গেলেন।
মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি করা ম্যাচে ২০১৩ সালে গলে অভিষেক হয় মুমিনুলের। ক্যারিয়ারের প্রথম ইনিংসেই তিনি করেন ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন মুমিনুল। পরের ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত তৃতীয় টেস্ট খেলার আগে তাকে দর্শক হয়ে থাকতে হয়।
২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল মিডল অর্ডারে মাহমুদউল্লাহকে জায়গা করে দিতে মাঠে নামা হয়নি তার। এরপর সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সেই মাহমুদউল্লাহর পরিবর্তে মুমিনুল ফের নামেন। তারপর শুধু ব্যাটার মুমিনুলের এগিয়ে চলার গল্প। টানা ১২ ফিফটির বিশ্ব রেকর্ডের কাছে গিয়েছিলেন।
এ পর্যায়ে মুমিনুলকে শ্রীলঙ্কায় ও ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকায় খেলাননি হাথুরুসিংহে। এছাড়া ইনজুরির কারণে কেবল নিউজিল্যান্ডে ২০১৭ সালে তার একাদশের বাইরে থাকতে হয়। মুমিনুলের অভিষেকের পর বাংলাদেশ খেলেছে ৫৯ টেস্ট। মুমিনুল খেলেন ৫৪ টেস্ট। ৫৪ টেস্টে তিনি করেন ৩৫২৯। ব্যাটিং গড় ৩৭.৫৪। সেঞ্চুরি ১১টি।
কিন্তু এখন চরম দুঃসময়। শেষ ১০ ইনিংসের নয়টিতেই মুমিনুল দুই অঙ্কের রানে যেতে পারেন নি। মাউন্ট মঙ্গানুইতে ৮৮ রানের ইনিংসের পর ১২ ইনিংসে তুলেছেন ৭৮ রান! খেলতে যেন ভুলেই গেছেন। তাইতো এবার টেস্ট স্পেশালিস্ট তার জায়গাটাও হারালেন। কে জানে কবে ফিরতে পারবেন তিনি?
Discussion about this post