টেস্ট ক্রিকেটে ফের শুরু হতে যাচ্ছে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অধ্যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই সাদা পোশাকে দলকে নেতৃত্ব দেবেন এই অলরাউন্ডার। মুমিনুল হক অধ্যায় শেষে নতুন আরেক দিগন্তে বাংলাদেশ। সাকিব নেতৃত্বে ফেরায় খুশি জাতীয় দলের ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স। সাকিবের নেতৃত্বগুণ দেখার অপেক্ষার তিনি।
শনিবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে সিডন্স বলেন, ‘দেখুন, এখানে দুটি ইতিবাচক দিক আছে। সাকিব খুব ভালো অধিনায়ক। খেলা নিয়ে ভাবনার জায়গায়ও খুবই ভালো। সাকিব ধারাবাহিক পারফর্মারও। অধিনায়ক হিসেবে দারুণ কিছুই করবে ও। সবাই অনুসরণ করে তাকে। সাকিব আগেও অধিনায়কত্ব করেছে। তার ওপর দলের সবার আস্থা আছে। বলছি না মুমিনুলের সেটা ছিল না। তবে ক্রিকেটাররা সাকিব যা করে সেটাই অনুকরণ করে। তার ফেরাটা তাই দারুণ খবর।’
এ অবস্থায় মুমিনুল এখন তার নিজের খেলাটা খেলতে পারবে বলে মনে করেন সিডন্স। বলছিলেন, ‘এই ব্যাপারটির আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে, মুমিনুল এখন তাঁর ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে পারবে। সে কিছুদিন ধরে রান পাচ্ছিল না। এখন সে ১০০ ভাগ মনোযোগ ব্যাটিংয়ে দিতে পারবে। তার পারফরম্যান্সটা আমাদের দরকার। আমরা জানি সে ভালো ক্রিকেটার। সেই ক্রিকেটাররা ফিরে আসুক, এটাই চাই। অধিনায়কত্বের চাপ যেহেতু থাকছে না, আশা করি মুমিনুল স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারবে।’
সাকিবের প্রতি একটা বার্তাও আছে সিডন্সের, ‘সাকিব যদি অধিনায়কত্ব করতে চায়, তাহলে তাকে খেলতে হবে। না খেলে তো অধিনায়কত্ব করা যায় না। আমার মনে হয় সে আবারো অধিনায়ক হওয়ার বিষয়টিতে রোমাঞ্চিত। আমার মনে হয় সাকিবের নেতৃত্বগুণের দিকটা এখন আমরা দেখতে পাব যেটা আমরা দীর্ঘদিন দেখিনি।’
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে সিডন্স বলেন, ‘আগে তো আরেকজন ওপেনার খুঁজে বের করতে হবে! ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেনি বা ‘এ’ দলে কিংবা টাইগার্সে, এমন কাউকে স্রেফ ওপরে ঠেলে দিতে পারি না। এটাই চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য। তামিমকে চারে নামাতে হলে আরেকজন ভালো ওপেনার লাগবে। আমার মতে চার নম্বরে ও ফ্যান্টাস্টিক হবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজের দুটি ম্যাচ শুরু হবে যথাক্রমে ১৬ ও ২৪ জুন। প্রথম টেস্টের ভেন্যু অ্যান্টিগা। দ্বিতীয় টেস্ট সেন্ট লুসিয়ায়। সফরে টি-টুয়েন্টি সিরিজের তিনটি ম্যাচ ২, ৩ ও ৭ জুলাই। প্রথম দুই ম্যাচ হবে ডমিনিকায়, শেষ ম্যাচ হবে গায়ানায়। এই ভেন্যুতেই আগামী ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই তিন ওয়ানডে।
Discussion about this post