দলের পেসাররা রয়েছেন ইনজুরির মিছিলে। এরমধ্যে সামনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। যেখানে রাজত্ব থাকে জোরে বোলারদেরই। তাইতো মুস্তাফিজুর রহমানকে টেস্টেও বিবেচনা করা হচ্ছে। লাল বলের দলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট দলে তাকে রাখার কথা ভাবছেন নির্বাচকরা।
দলের নিয়মিত দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামকে আসন্ন নেই সিরিজে পাওয়া যাচ্ছে না। সফরের দল চূড়ান্ত হয়ে যাবে দিন কয়েকের মধ্যে। তার আগে বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানালেন তাদের ভাবনায় আছেন মুস্তাফিজ। কথা বললেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সোমবার শুরু সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট নিয়েও।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সঙ্গে সেই আলাপচারিতার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে-
লঙ্কানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে?
অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে। সব টেস্ট ম্যাচই চ্যালেঞ্জিং। এই টেস্টে আমরা যথেষ্ট ভালো ব্যাটিং করেছি। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংও ভালো করেছি। আশা করছি দ্বিতীয় টেস্টে আরও ভালো ক্রিকেট খেলব, ৫ দিন ভালো খেলে ভালো ফলাফল আনব।
খেলার পরিকল্পনা বলতে দুইটা টেস্ট নিয়েই দল দিয়েছিলাম। একটা আজকে শেষ হচ্ছে, ঢাকায় ফিরে ঢাকার টেস্ট নিয়ে পরিকল্পনা শুরু হবে। এটা নিয়ে ২-৩ বার তো আর পরিকল্পনা হবে না।
মুস্তাফিজ কি থাকবেন উইন্ডিজ সফরের টেস্ট দলে?
যারা আছে তাদের নিয়েই দল ঘোষণা করে দিয়েছি। মুস্তাফিজ সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাট নিয়ে ব্যস্ত। সেখান থেকে এই সিরিজে এসে খেলা কঠিন। এখন যারা আছে, টিম ম্যানেজমেন্টের অধীনে কাজ করছে ওদের ওপরই আমরা আস্থা রাখছি। মুস্তাফিজের সাথে আগামী সিরিজ নিয়ে আমার কথা হয়েছে। নির্বাচক প্যানেল থেকে রুটিন ডিসকাশন। ঢাকায় গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দল তৈরি করব। তখন এসব নিয়ে আলোচনা করব।
মুস্তাফিজকে টেস্ট দলে অবশ্যই প্রত্যাশা করি। খেলোয়াড়দের সেরা মুহূর্তে দলে অবশ্যই দরকার। যদি দরকার হয় অবশ্যই ওকে ডাকা হবে। অবশ্যই এ নিয়ে আলোচনা করব।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল কবে দেওয়া হবে?
সময় হলে পেয়ে যাবেন। এখানে লজিস্টিক কিছু কাজ আছে এগুলো গোছাতে হচ্ছে। দল প্রায় প্রস্তুত করা আছে। সভাপতির অনুমোদন পেলে দল দিয়ে দিব।
মুশফিকুর রহীম টি-টুয়েন্টিতে কতোটা কার্যকরী?
এটা নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করতে চাই না। এটা আলাদা অংশ। এখন টেস্ট সিরিজ চলছে, টেস্ট নিয়েই আলোচনা করছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের তিন ফরম্যাট নিয়ে যখন আলোচনা হবে তখন সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই কিন্তু আমাদের বিশ্বকাপ পরিকল্পনাটা শুরু হবে। ঢাকায় ফিরে ২১ তারিখ সভা আছে এই সিরিজ নিয়ে। তিন ফরম্যাটের দল চূড়ান্ত করে সব কিছু নিয়ে আলোচনা হবে। এজন্য এ মুহূর্তে এই বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে চাচ্ছি না।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনদের ইনজুরির কী অবস্থা
ও তো সীমিত ওভারের খেলোয়াড়। ইঞ্জুরিতে পড়ে দীর্ঘদিন দলের বাইরে ছিল। এখন ফিরে এসেছে, প্রিমিয়ার লিগ খেলেছে। ফিটনেস লেভেল একটু দেখতে হবে। ফিজিও ওকে আবার দেখবে, ইঞ্জুরির অবস্থা দেখবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য দেখবে। সব দিক দিয়ে ইতিবাচক পেয়েছি। ওকে নিয়ে ভাও চিন্তাভাবনাই আছে। দেখা যাক ওকে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে) রাখা যায় কি না।
তাসকিন কবে ফিরতে পারবেন?
আমাদের কাছে যতটুকু তথ্য আছে, টেস্ট সিরিজে হয়ত ওকে পাচ্ছি না। সাদা বলে পেতে পারি। তারপর ২১ তারিখ ফিজিওর রিপোর্ট পেয়ে পুরোপুরি আপডেট দিতে পারব।
শরিফুল উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে আছেন?
শরিফুলকে টেস্টে পাওয়ার সম্ভাবনাই নেই। ওকে সীমিত ওভারে পেতে পারি। পুরো আপডেট আগামী সপ্তাহে দিতে পারব।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলা এনামুল হক বিজয় ফিরছেন, এমন ইঙ্গিত আছে…
সব খেলোয়াড়কে নিয়ে আলোচনা হবে। সাদা বল, লাল বল সব নিয়ে আলোচনা হবে। যে ভালো অবস্থানে থাকে তাকে আমরা অন্তর্ভুক্ত করব।
Discussion about this post