বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দারুণ লড়াই করলেন তিনি। আলো ছড়ালেন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। তারপরও
আক্ষেপ থেকেই গেল। একটুর জন্য অনন্য একটি মাইলফলকে পা রাখতে পারলেন না তিনি। ১৯৯ রানে আউট হলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ফিরলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। কিন্তু এক রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে ফিরলেন।
এদিন বল হাতে আলো ছড়ালেন নাঈম হাসান। তারপরও চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়ে তুলল ৩৯৭ রানে। নাঈম ১০৫ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট। এটিই তার টেস্ট ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং ফিগার। ৩ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। ১ উইকেট নেন তাইজুল। মানে প্রতিপক্ষের ১০টি উইকেটই নিলেন স্পিনাররা।
সোমবার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দাপট থাকল ম্যাথুজেরই। মনে হচ্ছিল ব্যাটিং উইকেটে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন তিনি। কিন্তু
এক রান দুরে থেকে আউট। তার ৩৯৭ বলের ইনিংসটি ছিল ১৯ চার ও এক ছক্কা। শ্রীলঙ্কার টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে নার্ভাস ১৯৯ রানে আটকে গেলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে সানাৎ জয়াসুরিয়াও ফেরেন এই রানে।
এই টেস্টে শ্রীলঙ্কার প্রতিটি উইকেটই নিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। কোনো বোলিং অনুশীলন করা ছাড়াই মাঠে নেমে সাকিব ৩৯ ওভার করে ৬০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। সোমবার দিন সকালে দিনেশ চান্দিমাল ও ম্যাথুজ বেশ ভুগিয়েছেন। দুজনের ১৩৬ রানের জুটিওত ৬৬ রান তুলেন চান্দিমাল।
ম্যাথুজ টেস্ট ক্রিকেটে তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি। এছাড়া অর্ধশতক করেন কুশল মেন্ডিস (৫৪) দিনেশ চান্দিমাল (৬৬)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৫৩ ওভারে ৩৯৭ (আগের দিন ২৫৮/৪) (ম্যাথিউস ১৯৯, চান্দিমাল ৬৬, ডিকভেলা ৩, রমেশ ১, এম্বুলদেনিয়া ০, বিশ্ব ১৭*, আসিথা ১; শরিফুল ২০-৩-৫৫-০, খালেদ ১৬-১-৬৬-০, নাঈম ৩০-৪-১০৫-৬, তাইজুল ৪৮-১২-১০৭-১, সাকিব ৩৯-১২-৬০-৩)
Discussion about this post