এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) স্বপ্নের মতো এক জয় দিয়ে শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরপরই পথ হারাল দল! টানা দুই ম্যাচে হার দেখল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। তবে ঠিকই রান পাচ্ছেন দলের ব্যাটসম্যানরা। বোলাররা চেষ্টা চালালেও প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা হচ্ছে না। ফের হার দেখেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৪ উইকেটে হারিয়েছে রূপগঞ্জকে।
এদিন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) চার নম্বর মাঠে সোমবার টস জিতে ব্যাটিং নেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে তারা তুলে ৫ উইকেটে ২৬৫ রান। তারপর জবাব দিতে নেমে ৪৮.১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দল প্রাইম ব্যাংক করে ২৬৯ রান।
এ অবস্থায় আক্ষেপ পিছু ছাড়ছেই না নাঈম ইসলামের। বারবার একটুর জন্য হাত ফসকে যাচ্ছে শতরান। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৯৫ রান। পরের ম্যাচে ৯২। তৃতীয় ম্যাচে এসে সেই নার্ভাস নাইটিনতে আউট তিনি! লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের তারকা সোমবার ফিরলেন ৯১ রানে। তার ৯ রানে আক্ষেপের দিনে শতরান পেলেন রকিবুল হাসান। তাদের ব্যাটে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ২৬৫ রান তুলেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
সকালে ব্যাট করতে নেমে ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে লিজেন্ডস রূপগঞ্জ। তারপর নাঈম-রকিবুল জবাব দিতে থাকেন। হাফ সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন দু’জন। রকিবুল ১১২ বলে পেয়ে যান শতরান। কিন্তু নাঈম আটকে যান নার্ভাস নাইনটিনে।
৮ চার ও ৩ ছয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট সপ্তম সেঞ্চুরির তুলেন রকিবুল। ১২১ রানে ফেরেন তিনি। খেলার ৪৫তম ওভারের চতুর্থ বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে নাহিদুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দেন নাঈম। ১০৯ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছয়ে ৯১ রান করেন তিনি।
নাঈম-রকিবুল গড়েন ২০০ রানের জুটি। ২১৪ বলে চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ডাবল সেঞ্চুরি করেন তারা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি ২৭৬ রানের। যা লিস্ট এ ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড। প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে মুমিনুল হক ও রোশান সিলভা গড়েন এই রেকর্ড। ১৩ বলে ১০ রান নিয়ে চিরাগ জানি ও ১৪ বলে ১৯ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ২ উইকেট নেন পেসার রুবেল হোসেন।
জবাব দিতে নেমে এনামুল হক বিজয় ও শাহাদত দীপুর ব্যাটে দারুণ সূচনা পায়। ১৩৫ রানে থামে উদ্বোধনী জুটি। ৫৩ রান করা বিজয়কে ফেরান নাবিল সামাদ। ১৪৫ বলে ১৩১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে ফেরেন দীপু। নাবিল সামাদ ৩ উইকেট নেন ৩৩ রানে। সনজিত সাহা নেন ১ উইকেট। একটি উইকেট শিকার করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ : ৫০ ওভারে ২৬৫/৫ (নাঈম ৯১, রকিবুল ১২১, মাশরাফি ১৯; রুবেল ২/৫৮)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব : ৪৮.১ ওভারে ২৬৯/৬ (বিজয় ৫৩, দীপু ১৩১, নাবিল ৩/৩৩)
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৪ উইকেটে জয়ী।
Discussion about this post