কিছুটা তো বিস্ময়করই। এমনটা যে এর আগে হয়নি। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা। আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলে তো কথাই নেই। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে পাল্টে গেল সবকিছুই। নারীদের বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব মাঝপথেই যায় থমকে। এ কারণেই যে করে হোক মূল পর্ব শেষ করতে চায় আইসিসি। তার অংশ হিসেবে প্লেয়িং কন্ডিশনেও এনেছে পরিবর্তন। করোনার কারণে ৯ জন সুস্থ খেলোয়াড় থাকলেই মাঠে নেমে পড়তে পারবে একটি দল।
আয়োজক দেশ নিউজিল্যান্ডের শহর ক্রাইস্টচার্চে সংবাদ মাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে বৃহস্পতিবার এই তথ্য দিলেন আইসিসির হেড অব ইভেন্ট ক্রিস টেটলি। তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রয়োজন হলে ৯ জন ক্রিকেটার নিয়ে কোনো দলকে মাঠে নামার অনুমতি দেব আমরা। তাদের ম্যানেজমেন্ট দলে যদি নারী থাকে, বিকল্প হিসেবে আমরা দুইজনকে খেলার অনুমতি দেব। অবশ্য তারা বোলিং ও ব্যাটিং করতে পারবেন না।
৪ মার্চ নিউজিল্যান্ডের তাওরাঙ্গায় শুরু হবে নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেট। যেখানে আছে বাংলাদেশও। ক্রাইস্টচার্চে ৩ এপ্রিল ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে লড়াই।
৫০ ওভারের এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মিশন শুরু ৫ মার্চ। ডানেডিনে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল নামবে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ নারী দলের বিশ্বকাপ দল-
নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, ফারজানা হক পিংকি, জাহানারা আলম, শামীমা সুলতানা, ফাহিমা খাতুন, রিতু মনি, মুর্শিদা খাতুন, নাহিদা আক্তার, শারমিন আক্তার সুপ্তা, লতা মণ্ডল, শোভনা মোস্তারি, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, সুরাইয়া আজমীম ও নুজহাত তাসনিয়া।
Discussion about this post