ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর ওয়ানডে ফরম্যাটে তেমন খেলার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। তারপর যতটুকু সুযোগ হয়েছে তাতে দারুণ খেলেছেন সাকিব আল হাসান। এজন্য এ তারকা জায়গা পেয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডের সেরা হওয়ার তালিকায়। সেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাবর আজম, জান্নেমান মালান ও পল স্টার্লিং।
২০২১ সালে ৯ ওয়ানডেতে দুটি ফিফটিতে ৩৯.৫৭ গড়ে সাকিব করেন ২৭৭ রান। এছাড়া ১৭.৫২ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ১৭টি।
গেল জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ী পারফরম্যান্স করেন সাকিব। ২০১৯ সালের জুলাইয়ের পর প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমেও ১১৩ রান করেন এবং নেন ৬ উইকেট। স্বাগতিক বাংলাদেশ সিরিজ জেতে ৩-০ তে।
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন সাকিব। তিন ম্যাচে মাত্র ১৯ রান করেন এবং নেন ৩ উইকেট। তবে ঘুরে দাঁড়ান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তিন ম্যাচের সিরিজে ১৪৫ রান করার পাশাপাশি নেন ৮ উইকেট। স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করার পথে এক বর্ষঞ্জিকায় দ্বিতীয়বার সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব পান।
বর্ষসেরার দৌড়ে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী বাবর ছয় ম্যাচে ৬৭.৫০ গড়ে দুটি সেঞ্চুরিসহ ৪০৫ রান করেন। এই বছর মাত্র ৬ ম্যাচ খেললেও দুটি সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ এ সিরিজ নিশ্চিতে দুটি জয়ের ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড় হন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ২২৮ রান করে সিরিজের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যাটসম্যান ছিলেন।
ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০ তে হারার সিরিজে পাকিস্তানের নায়ক ছিলেন বাবর। তিন ম্যাচে ১৭৭ রান করেন, তিনি। অন্য কোনো ব্যাটসম্যানই তিন ম্যাচ মিলিয়ে ১০০ করতে পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার জান্নেমান মালান আট ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরিতে ৮৪.৮৩ গড়ে ৫০৯ রান করেন। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ওয়ানডে অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ৫০ ওভারের সেট আপে দ্রুত নিজেকে প্রতিষ্ঠি করেন তিনি।
আয়ারল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক স্টার্লিং খেলেছেন ১৪ ওয়ানডে। তিন সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরিতে ৭৯.৬৬ গড়ে ৭০৫ রান করেছেন। এই বছর ওয়ানডেতে রানের হিসাবে তিনিই সবার উপরে।
Discussion about this post