মৌখিকভাবে জানিয়ে রেখেছিলেন-নিউজিল্যান্ড সফরে তিনি যেতে চান না! তারপরও তাকে যখন রাখা হলো ২ টেস্টের সিরিজের সেই টেস্ট দলে-তখন লিখিত আবেদন করেন এই অলরাউন্ডার। আনুষ্ঠানিক সেই ছুটির আবেদন এবার মঞ্জুর করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সংবাদ সম্মেলনে এটি নিশ্চিত করলেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
নিউজিল্যান্ড সফরের দলে নাম থাকলেও ছুটি চেয়ে চিঠি দিলেও ক্ষুব্ধ নাজমুল হাসান পাপন। সোমবার রাজধানী একটি পাঁচতারকা হোটেলে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এনিয়ে মুখ খুলেন পাপন।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘দেখুন, ব্যাপারটা হচ্ছে যার বিশ্রামের প্রয়োজন তাকে তো বিশ্রাম দিতেই হবে। সে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হোক বা না হোক। সাকিবের ব্যাপারটা কিন্তু আলাদা, ও তো আর ইনজুরিতে নেই কিংবা বিশ্রামও চায়নি। ও বিরতি চেয়েছে পারিবারিক কারণে। কাজেই জিনিসটা কিন্তু এক না, এটা বিশ্রাম না। অবশ্যই সে আমাদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার, এটাতে তো কোন সন্দেহ নেই।’
বিশ্বকাপের মধ্যে ইনজুরিতে দল থেকে ছিটকে যান সাকিব। এরপর মিস করেন পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজ। খেলতে পারেন নি সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর ফিরে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলছেন। বিশ্রাম শেষে ফিরে এখন পারিবারিক কারণে ছুটি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
সাকিবের ছুটি মঞ্জুর করলেও বিসিবি সভাপতি বলেছেন, আগামী জানুয়ারি মাসে পুরো বছরের সূচি জানাতে হবে খেলোয়াড়দের। পাপন বলেন, ‘আমরা যে জিনিসটা বলে আসছি যে, কেউ যদি খেলতে না চায়, বিশ্রাম চায়, বিরতি চায় এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এটা আনুষ্ঠানিকভাবে হতে হবে। আমরা যে জিনিসটার ওপর জোর দিয়েছি সেটা হলো আগাম জানাতে হবে। হঠাৎ করে একটা সিরিজের আগ মুহূর্তে হলে আমাদের জন্য সমস্যা। জানুয়ারি থেকে আমরা যে জিনিসটা করতে চাচ্ছি, পুরা পরিকল্পনা বলে দিতে হবে। কোন বিশ্রাম লাগলে বা বিরতি লাগলে এটা যেন আমাদের আগে জানানো হয়। তাহলে আমাদের বিকল্প খেলোয়াড় গুলো আমরা তৈরি করে রাখতে পারব।’
আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ দল। সেই মিশনে ৯ জানুয়ারি দেশ ছাড়বে মুমিনুল হকের দল। সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি। পরেরটি শুরু ৯ জানুয়ারি। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষেই দল উড়াল দেবে নিউজিল্যান্ডের পথে।
Discussion about this post