ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সম্প্রতি ঘরের মাঠে দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ তারই প্রমাণ দেয়। তবে ঐ দুই সিরিজে টাইগারদের আক্ষেপের নাম ছিল ব্যাটিং। তারপরও বিশ্বকাপে ভাল করার প্রত্যয় জানিয়েছিলেন অধিনায়ক রিয়াদ। কিন্তু এ টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে তেমন কিছুই দেখাতে পারেনি টিম টাইগার্স। তাই দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে ব্যাটসম্যানদের ফর্ম ও বড় রান করার সক্ষমতা নিয়ে।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই অভিজ্ঞ মাশরাফি ও তামিম। বলতে গেলে তারণ্য নির্ভর দল নিয়ে এ টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে টিম টাইগার্স। বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে থাকবেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। স্লো উইকেটে দারুণ কার্যকর মুস্তাফিজুর শারজাহ ও আবুধাবির উইকেটে ধারণ করতে পারেন রুদ্রমূর্তি। গত কয়েক বছরে আইপিএলসহ অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে এখন বেশ পরিপক্ক তিনি।
প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া তরুণ দুই তুর্কি নাসুম আহমেদ ও শেখ মেহেদি সম্প্রতি দারুণ করলেও এমন বড় মঞ্চে নিজেদের নার্ভ নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ তাদের জন্য। তবে বৈচিত্র্যের অভাব ভোগান্তির কারণ হতে পারে তাদের জন্য। আরও আছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন। দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে মারমুখী ইনিংস খেলতে পারেন তিনি। ফেনীর এই অল-রাউন্ডার একাদশে থাকলে নিশ্চিতভাবেই বাড়বে লোয়ার অর্ডারের শক্তি।
নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পারলে তাসকিন আহমেদও গড়ে দিতে পারেন পার্থক্য। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্স কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে বোলারদের। সেই ম্যাচের ভুলগুলো শুধরেই কাল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামতে চাইবে বাংলাদেশ।
বোলিং নিয়ে না হলেও টাইগারদের চিন্তার নাম ব্যাটিং। কেননা বিশ্বকাপের আগে শ্রীলংকা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি মুশফিকরা। অপেক্ষাকৃত দূর্বল বোলিং আক্রমণের এই দুই দলের বিপক্ষে বড় রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস, নাইম শেখরা। সেখানে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মত দলগুলোর বিপক্ষে বড় রান করাটা যে বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে তাদের জন্য তা বলাই যায়।
Discussion about this post