সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে অক্টোবরে শুরু হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। তার আগে মিরপুরের শেরেবাংলায় ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেছে ঘরোয়া ক্রিকেটাররা। যারা খেলার বাইরে ছিলেন তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। এই সুযোগটা নিয়েছেন নাসির হোসেনও। যিনি অনেক দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে।
মাঝে অবশ্য কয়েক মাস আগে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন তামিম। স্ত্রী তামিমা হোসেন তাম্মির সঙ্গে সংসার শুরু করেছেন তিনি। তার স্ত্রী অবশ্য দেখছেন একদিন ফের জাতীয় দলে খেলবে নাসির। বুধবার মিরপুরে এনিয়ে কথা বলেন এই ক্রিকেটার। সঙ্গে ঘরোয়া লিগে টার্গটে নিয়েও বলেন নানা কথা।
গণমাধ্যমের সঙ্গে নাসিরের সেই আলাপচারিতা তুলে ধরা হলো এখানে-
আবারও জাতীয় দলে ফেরার জন্য কী করছেন?
ফেরার জন্য আসলে অবশ্যই ট্রেনিংয়ের কোনো বিকল্প নাই। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ফিটনেসের ওপর বেশি কাজ করতেছি। যেহেতু করোনার জন্য আমরা (অনুশীলনের জন্য) উইকেট ওভাবে পাচ্ছি না। আমার বিশ্বাস, আমরা এখন উইকেট পাবো। তো অবশ্যই ব্যাটিং-বোলিং দুইটাই হবে।
এর আগে বলেছেন, আপনার স্ত্রী চাইছে ফের আপনি জাতীয় দলে খেলুন। স্ত্রীর ইচ্ছাপূরণে কী ভাবছেন?
অবশ্যই আমি চেষ্টা করবো। যতদিন ক্রিকেট খেলবো আমি চেষ্টা করবো জাতীয় দলে কামব্যাক করতে। আমার মনে হয়, এটাই সব প্লেয়ারের স্বপ্ন। আমারও স্বপ্ন আবার যাতে জাতীয় দলে কামব্যাক করতে পারি।
আসন্ন ঘরোয়া লিগে কোনো টার্গেট
ঘরোয়া লিগে আমি সবসময়ই চেষ্টা করি টপ রান গেটার হবো। এটাই সবসময় চেষ্টা করি। এবারও যখন (জাতীয় লিগ) শুরু হবে, এটাই আমার টার্গেট থাকবে যেনো আমি টপ রান গেটার হতে পারি।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের ৬ থেকে ৭ নম্বর ব্যাটসম্যানরা ফিনিশার হিসেবে কতটা ক্যাপেবল মনে হয়?
অবশ্যই তারা ক্যাপেবল। ক্যাপেবল না হইলে এই জায়গাটায় থাকতো না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি দলে খেলে হচ্ছে দুইটা প্লেয়ার, ৬-৭ নম্বরে যারা ব্যাটিং করবে তাদের কিন্তু এটা ভূমিকা (এ শব্দটা কী বলছে ক্লিয়ার বোঝা যায়নি) কম। যারা টপঅর্ডারে ব্যাটিং করবে তাদের ভূমিকাটা অনেক বেশি। আমার মনে হয় যে, যে টিম হয়েছে অনেক ভালো দল হয়েছে। অবশ্যই সবাই ক্যাপেবল। ইনশাআল্লাহ আমি বিশ্বাস করি যে টি-টোয়েন্টিতে আমরা ভালো রেজাল্ট করবো।
বিশ্বকাপে অন্য সব দলের তুলনায় বাংলাদেশ দলটা ইয়াং হয়েছে। কতদূর যাবে বলে মনে হয়?
আমি তো চাইবো বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড কাপ জিতুক। এটা ডিপেন্ড করে আসলে। আপনি এভাবে বলতে পারেন না কতটুকু যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। খেলা হচ্ছে ১২০ বলের। তো ঐ ১২০ বল যারা ভালো খেলবে, ঐ দিনটা যাদের ভালো থাকবে, তারাই রেজাল্ট করবে। বাংলাদেশ যদি বিশ্বকাপ জেতে, আমার মনে হয় না এটা অসম্ভব কিছু। টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা, যেখানে বড় দল আর ছোট দলের মার্জিনটা অনেক কম থাকে। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ যদি ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং (আর কিছু নাই? অবশ্যই আছে) ভালো করে আর ভুল কম করে, তাহলে জেতার চান্স অনেক বেশি।
ভক্তদের ভালোবাসার প্রতিদান কীভাবে দিতে চান
তাদের ভালোবাসার প্রতিদান আমি জাতীয় দলে ব্যাক করে দিতে চাই। তাদের উদ্দেশ্যে আমি এতটুকুই বলবো যে, তারা সবসময় আমাকে সাপোর্ট করে আসছে। তাদের কাছে আমি দোয়া চাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, আবার জাতীয় দলে কামব্যাক করবো আমি।
Discussion about this post