মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে অধিনায়ক করে ঘোষণা করা হয়েছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দল। যেখানে অভিজ্ঞর সঙ্গে আছে নতুনের মিশেল। টাইগারদের বিশ্বকাপে দলে তেমন কোনও চমক নেই। অবশ্য দলে জায়গা পেলেন আফিফ হোসেন, শামীম পাটোয়ারি, নাসুম আহমেদের উঠতি ক্রিকেটাররাও।
দল ঘোষণা করতে এসে বৃহস্পতিবার মিরপুরের শেরেবাংলায় এনিয়ে নানা কথা বলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। প্রধান নির্বাচকের সেই কথার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে-
দল গঠনে ম্যানেজমেন্ট থেকে চাপ ছিল কীনা প্রসঙ্গে..
এখানে কোন চাপ নাই কিছু নাই, এখানে ক্রিকেটারদের যেভাবে পাচ্ছি অনুশীলনে দেখছি আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী এই ক্রিকেটারদের ওপরে এবং আমরা মনে করছি ওরা তৈরি। ঘরের মাটিতে যেমন উইকেটে খেলি বাইরে কিন্তু সেরকম উইকেটে খেলি না। তো প্রত্যেক সিরিজে কিন্তু একেকটা পরিকল্পনা থাকে, ওই পরিকল্পনা মতোই যাওয়া হয় এর বাইরে কিন্তু যাওয়া হয় না। যেখানে আমরা হোমে দুটা সিম বোলার খেললে বাইরে কিন্তু তিনটাও খেলি। এদিকে মাথায় রেখে কিন্তু আগাতে হয়। সে হিসাবে যে কোন ক্রিকেটারদের কিন্তু ওই পরিকল্পনা রেখেই তৈরি করতে হয়। যদি সুযোগ আসে যে কোন ক্রিকেটারকে কিন্তু খেলানোর ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ক্রিকেটারটি খেলার জন্য তৈরি।
তামিম ইকবাল নেই দলে। তিনি আগেই সরিয়ে নেন বিশ্বকাপ দল থেকে…
অবশ্যই তামিম আমাদের তিন ফরম্যাটে অন্যতম বেস্ট ক্রিকেটার। এখন ও নিজে থেকেই সরে দাঁড়িয়েছে, আমরাও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমরা ওকে, এটা সত্যি দুর্ভাগ্য। তামিমকে দল ও আমরাও মিস করবো। তবুও আমরা আত্মবিশ্বাসী ও ভাল ভাবে ফিরে আসবে।
লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে না নেয়া
লম্বা সময় কিন্তু সে অসুস্থতায় ছিল, এখান থেকে সে ফিরে এসেছে। তারপরও ওকে আমরা নিয়ে যাচ্ছি। দুর্ভাগ্যবশত আমরা যে পরিকল্পনায় খেলবো সেখানে সে পরছে না, তাই তাকে মূল দলে রাখা যায়নি।
প্রসঙ্গ সিরিজ জয় দিয়ে প্রস্তুতি…
দেখুন যে কোন ফরম্যাটে খেলি না কেন জয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জয়টা কিন্তু আত্মবিশ্বাস সবসময় বাড়ায়, হারতে থাকলে কিন্তু মানসিকতা এমনিতেই নেমে যায়। সে হিসাবে জয়ের আত্মবিশ্বাস ধারাবাহিক থাকলে যে কোন জায়গায় আরেকটি সিরিজ বা টুর্নামেন্ট ভালোভাবে খেলা যায়। সে হিসাবে এই জয়গুলোর ধারাবাহিকতায় ক্রিকেটাররা অবশ্যই আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। আর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি কিন্তু ওমানে গিয়ে শুরু হবে। ওখানকার কি উইকেট, আমরা কিন্তু কখনও ওমানে খেলিনাই। ওখানে না যাওয়া পর্যন্ত কি পরিকল্পনায় খেলবো এটা বোঝাও মুশকিল। সে হিসাবে আমি মনে করি ওখানে না যাওয়া পর্যন্ত আগাম পরিকল্পনার ব্যাপারে বলা মুশকিল। তো আমরা যখন ওমানে যাব তখন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হবে। আর আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে যে আমাদের ক্রিকেটারদের যথেষ্বট আত্মবিশ্বাস আছে ওখানে গিয়ে সবাই দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে।
দলে নেই মোসাদ্দেক হোসেন..
যে ১৫ জনকে আমরা নিয়েছি এদেরকে নিয়ে আমরা যথেষ্ট আলোচনা করেছি এবং ঘরের মাঠে যে পরিকল্পায় খেলা হচ্ছে এর বাইরে ওমানে গিয়ে আমরা যে পরিকল্পনায় খেলবো সেই কথা মাথায় রেখে এই ১৫ জনকে সিলেক্ট করেছি। আমরা দু’ভাবে দল দিয়ে একটা ফাস্ট বোলার এবং একটা স্পিনার। এর বাইরে আমাদের আরো ১৩ জন ক্রিকেটার কিন্তু স্ট্যান্ডবাই আছে। তো যাকে যখন দরকার হবে, কেউ ইনজুরি হবে পারে তখন ওই খান থেকে পরিবর্তন করা হবে।
শামীম পাটওয়ারী প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ দলে..
অবশ্যই আমরা জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে সে আছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার, এইচপির হয়ে সে যথেষ্ট নার্সিং হয়েছে এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ও স্টাইলে খেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যথেষ্ট ভাল খেলবে
রুবেল হোসেনকে কেন দলের সঙ্গে… রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে যাচ্ছেন বিশ্বকাপে
দলে যখন ৫-৬ জন পেসার থাকে। সবাইকে কিন্তু ১১ জনের মধ্যে খেলানো মুশকিল। আর দল যখন ভাল খেলতে থাকে তখন একাদশ বদল করতেও টিম ম্যানেজমেন্ট চায় না। তো ধারাবাহিক ভাবে ওই ১১ জনের ওপরই বিশ্বাস রাখা হয়। সেই হিসাবে রুবেল ম্যাচ পায় না। কিন্তু রুবেল আমাদের অভিজ্ঞ ও সিনিয়র ক্রিকেটার, আমি মনে করি ও নিজেকে যেভাবে তৈরি করে রেখেছে যখন দরকার হবে আমরা ওর সেরা সার্ভিসটা পাব
মুশফিকুর রহিমের উইকেট কিপিং প্রসঙ্গে…
কিপিংয়ের পরিকল্পনাটা কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর। দল নির্বাচন আমরা করি অবশ্যই সেখানে তিনজন কিপার আছেন। টিম ম্যানেজমেন্ট যখন যাকে মনে করে তাকে কিপিং করাবে।
Discussion about this post