ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
টেস্ট মিশন শেষে দেশে ফিরলেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। হারারে থেকে জোহানেসবার্গ হয়ে কাতার এয়ারওয়েজে দোহা হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন। মঙ্গলবার সকালে তার সঙ্গে ঢাকা এসেছেন টেস্ট দলের ৬ সদস্য, যারা নেই জিম্বাবুয়ে সফরের ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি দলে।
মুমিনুল ছাড়াও নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম, নাঈম হাসান ও ইয়াসির আলি। দেশে ফিরে বিমাবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন সাদমান। টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন তিনি। থাকলে নিজের শতরান প্রসঙ্গও। হারারেতে শতক হাঁকালেন তিনি।
সাদমান ইসলামের সেই আলাপচারিতা এখানে তুলে ধরা হলো-
নিজের শতরান প্রসঙ্গে…
সব ব্যাটসম্যানেরই তো স্বপ্ন থাকে প্রথম ১০০। ওইরকম প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, আশায় ছিলাম যে ইন শা আল্লাহ একদিন হবে। জিম্বাবুয়েতে বেস্টটা দিতে পেড়েছি তাই একটা ভালো রেজাল্ট এসেছে। এটা দলের জন্যও ভালো হয়েছে, দল জিতেছে। জয় নিয়ে দেশে ফিরেছি।
হারারের উইকেট নিয়ে ..
প্রথম ইনিংসের তুলনায় দ্বিতীয় ইনিংসের উইকেটটা একটু অন্যরকম ছিল। তবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে আমরা যদি ভালো একটা লক্ষ্য ওদের দিতে পারি তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। ম্যাচটা জিততে পারব। ওদের কন্ডিশনে অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে আমরা সব সময়েই মনে করেছি যে আমরা ওদের চেয়ে ভালো দল। আমাদের প্রস্তুতিটাও ভালো ছিল। আমাদের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। রিয়াদ ভাই, তাসকিন, মুমিনুল ভাই সবাই আমাদের জন্য কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছিলেন।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্রসঙ্গ…
আমরা জানতাম না যে রিয়াদ ভাই এমন কিছু বলবেন। উনি বলার পর আমাদের ভালো করার ইচ্ছাটা আরও বেড়ে গিয়েছিল। মনে হয়েছিল যে ওনার জন্য হলেও ম্যাচটা জিততে হবে। এমনি হঠাৎ শুনতে পেয়েছি যে রিয়াদ ভাইর মনে হয় এটাই শেষ টেস্ট। এরপর ম্যাচের একটু আগে জানতে পারি উনি আর খেলবেন না।
শেষ ম্যাচে ১৫০ রান করলেন তিনি। দলে ভাল অবদান ছিল..
তা তো অবশ্যই। উনি আমাদের দলের জন্য যা করে গিয়েছেন তাই ওনার কারণে সবাই একটু মন খারাপ করেছিলাম, যে করেই হোক শেষ ম্যাচটা উনার জন্য খেলতে হবে। এরকম কোন খারাপ লাগা নেই। কারণ টেস্ট ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে হলে তো আপনাকে এমন মানতে হবে। বিশ্বে করোনার যে অবস্থা এতে তো কারও হাত নেই। আমি আমার প্র্যাক্টিস করে যাব, সময় আসলে ভালো খেলার চেষ্টা করব।
রিয়াদ অবসর নিচ্ছে এটা জানা ছিল না…
আমরা তো অবশ্যই জানতাম না এটা ওনার শেষ ম্যাচ। রিয়াদ ভাই হুট করে ড্রেসিং রুমে আমাদের জানিয়েছে। এরপরই সবাই চিন্তা করেছি যে রিয়াদ ভাইর জন্য খেলব। সবার ইচ্ছে ছিল শেষ মুহূর্তটা ওনাকে উৎসর্গ করব। আমরা সেভাবেই করছি।
Discussion about this post