বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনো কিছু জানায়নি। আবার তিনি নিজেও অফিসিয়ালি এনিয়ে কিছুই বলেন নি। কিন্তু গোটা ক্রিকেট বিশ্ব জেনে গেছে, শেষ হয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টেস্ট ক্যারিয়ার। তিনি অবসর নিয়েছেন এই ফরম্যাট থেকে। হারারে টেস্টই হয়ে গেল সাদা পোশাকে তার শেষ ম্যাচ।
১৬ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পেয়েছেন তার সেরা ইনিংস। প্রথম ইনিংসে করেন অপরাজিত ১৫০ রান। তাসকিন আহমেদের সঙ্গে নবম উইকেটে গড়েন দেশেরহেয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি। কিন্তু সেই ইনিংস খেলেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন টেস্টে আর নয়। রোববার টেস্টের শেষ দিন তাকে গার্ড অব অনারও দেন সতীর্থরা।
ম্যাচ শেষে এনিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবও দিতে হয় অধিনায়ক মুমিনুল হককে। যদিও এনিয়ে সরাসরি কিছু বলেন নি টেস্ট অধিনায়ক। ২২০ রানের বড় জয়ের তৃপ্তি নিয়ে তিনি বলেন বলেছেন, ‘এটা উনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে কথা বলার আমার জন্য কঠিন। এটা যার যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হতে পারে।’
মুমিনুল হক আরও যা যোগ করেন, তা থেকেও স্পষ্ট কিছু আঁচ করা গেলো না, ‘আমার কাছে মনে হয়…আমরা…দলের জন্য…ওইভাবে নয়, চেষ্টা করেছি ম্যাচটা যদি ওইভাবে শেষ হয়, উনার যদি ওইভাবে শেষ হয়, আমরা চেষ্টা করেছি উনার জন্য ডেডিকেট করে…যেহেতু শুনলাম, উনার অভিষেক টেস্টও জিতেছিলেন, শেষ ম্যাচটাও জিতলেন, যদি ওইভাবে হয়, আমি জানি না…আমার কাছে মনে হয়, ওইভাবেই টেস্ট ম্যাচ জেতার চেষ্টা করেছি।’
তবে হারারে টেস্টে মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্স নিয়ে মুমিনুলের বলেন, ‘লিটন আর রিয়াদ ভাইয়ের জুটিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১৬০ রানে ৬ উইকেট পড়ে গেছে। তখন কিন্তু একটা জুটি খুবই দরকার ছিল। রিয়াদ ভাই যে ইনিংসটা খেলেছেন, সেটা অসাধারণ।’
মাহমুদউল্লাহর অবসর সম্পর্কে পুনরায় প্রশ্ন উঠলে মুমিনুল বলেন, ‘আমি তো আগেই বললাম, এই ব্যাপারে কোনো কিছু বলা কঠিন। আমি জানি জটিল কিছু না (কমেন্ট করা)। অবশ্যই তরুণ অধিনায়ক হিসেবে আমার খারাপ লাগার কথা, যদি খারাপ না লাগে সেটা অবশ্যই অস্বাভাবিক।’
সব মিলিয়ে মাহমুদউল্লাহর সরে দাঁড়ানো নিয়ে গুঞ্জন থামছেই না! এই ক্রিকেটার মুখ খুললেই অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন ভক্তরা।
Discussion about this post