ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
লম্বা সময় পর অনেকটা নাটকীয়ভাবেই টেস্ট দলে ফিরেছিলেন মাহমুদউল্লা রিয়াদ। শুধু তাই নয় হারারে টেস্টে একাদশেও জায়গা পেয়ে যান এ তারকা। ব্যাট হাতে ঝলকও দেখাতে ভুলেননি তিনি। প্রথম ইনিংসে দলের মহাবিপদে হাল ধরে তুলে নেন সেঞ্চুরি। খেলে ক্যারিয়ার সেরা অনন্য এক সেঞ্চুরি। এর পরেই আসলে টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন এ ডানহাতি। যদিও ব্যাপারটির সত্যতা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধুম্রজাল। কিন্তু রোববার টেস্টের পঞ্চম দিনের সকালে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে গেল, যখন মাঠে নামার আগে দাঁড়িয়ে সতীর্থরা মাহমুদউল্লাহকে দিলেন গার্ড অব অনার।
হারারে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে মাহমুদউল্লাহর অবসরের খবর ছড়িয়েছিল। তবে নীরব থাকেন মাহমুদউল্লাহ। সেদিনের খেলা শেষে গণমাধ্যমের উদ্দেশে পাঠানো ভিডিওবার্তায় অবসর নিয়ে কিছুই বলেননি তিনি। তার এরকম ইচ্ছার কথা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানও। তবে সকল অস্পষ্টতা দূর করে দিল পঞ্চম দিনে মাঠে প্রবেশের মুহূর্ত। বিদায় নিচ্ছেন বলেই তো দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান জানালেন সতীর্থরা। টিভি ধারাভাষ্যকাররাও নিশ্চিত করেছেন তা।
নিজের শেষ টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে সপ্তম উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ গড়েন ১৩৮ রানের জুটি। এক পর্যায়ে ৯৫ করে লিটন ফেরার পর গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টেল এন্ডার তাসকিন আহমেদকে নিয়েও দারুণ লড়াই করেন মাহমুদউল্লাহ।নবম উইকেটে আনেন ১৭৪ রান। তুলেন পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। স্পর্শ করেন ক্যারিয়ার সেরা দেড়শো। তার এমন মুন্সিয়ানাতেই বিপদে থাকা অবস্থা থেকে বাংলাদেশ চলে যায় শক্ত অবস্থানে। এমন এক নৈপুণ্যের ম্যাচকেই নিজেদের ইতি হিসেবে বেছে নিলেন ৩৬ বছর বয়েসী এই তারকা।
এরআগে ২০০৯ সালে কিংসটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মাহমুদউল্লাহর। এরপর এক যুগে তিনি খেলেছেন ৫০ টেস্ট। তাতে ৩৩.৪৯ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৯১৪ রান। আছে ৫ সেঞ্চুরি আর ১৬ হাফসেঞ্চুরি।
Discussion about this post