একটা সময় ছিল নিয়মিত জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজ হতো বাংলাদেশের। আফ্রিকার দেশটিতেও সফরে যেতো টাইগাররা। কিন্তু এবার লম্বা বিরতি। প্রায় ৮ বছর পর জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে গেলে জিম্বাবুয়েতে। স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশে রাত ২টা ২০) দোহা ও জোহানেসবার্গ হয়ে হারারতে নেমেছে দল।
লম্বা আর ক্লান্তিকর যাত্রা শেষে গন্তব্যে পৌঁছেছেন তামিম ইকবাল-মুমিনুল হকরা। ২০১৩ সালের পর এবারই প্রথম জিম্বাবুয়ের মাটিতে পা রেখেছে জাতীয় দল। প্রায় এক মাস দীর্ঘ এই সফরে বাংলাদেশ খেলবে সাতটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। প্রথমেই একম্যাচের টেস্ট সিরিজ, তারপর তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ম্যাচ। যার প্রতিটি ম্যাচই হবে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে।
মঙ্গলবার ভোরে দেশ ছাড়েন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। প্রথমে কাতারের দোহা, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ ট্রানজিট হয়ে জিম্বাবুয়ের হারারেতে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। স্বস্তির খবর হলো- করোনা কাল হলেও হারারেতে বাংলাদেশ দলকে মাত্র একদিন থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। বৃহস্পতিবারই দল নামতে পারবে অনুশীলনে।
সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন দুবাইয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা ট্রানজিট থেকে দলের সঙ্গে যুক্ত হলেন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স আর হেড রাসেল ডমিঙ্গো। সাকিব আল হাসান ও সাদমান ইসলাম বুধবারই দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন।
জিম্বাবুয়েতে মোট তিনটি ধাপে যাবে বাংলাদেশ দল। টেস্ট দল গেল প্রথম দাপে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়, যারা অন্য দুই ফরম্যাটে নেই, তারা যাবেন পরের দুই ধাপে। সফরে ৭ জুলাই শুরু একমাত্র টেস্ট। এরপর ১৬, ১৮ ও ২০ জুলাই তিনটি ওয়ানডে। ২৩, ২৫ ও ২৭ জুলাই তিনটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ। প্রতিটিই হবে হারারে স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে।
টেস্ট দল-
মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, ইয়াসির আলী চৌধুরী, কাজী নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ রাহী, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন চৌধুরী ও শরিফুল ইসলাম।
Discussion about this post