কথায় আছে একটা অর্জন নাকি আরেকটার পথ গড়ে দেয়। মুশফিকুর রহিমেরও ঠিক তাই হয়েছে। একদিন আগেই পেয়েছেন সুখবর। তিনি হয়েছেন আইসিসির মে মাসের সেরা ক্রিকেটার। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশেনর কোন ক্রিকেটার পেলেন এই সম্মান। এই সাফল্যের পর নতুন স্বপ্ন এই তারকার।
দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্যারিয়ার। বাংলাদেশকে একের পর এক সাফল্য এনে দিয়েছেন। আর নিজে হয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ধারাবাহিক রান করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইতিহাস গড়ে এখন তিনি আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ (মে)’।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৮৪ রান করেন মুশফিক। দ্বিতীয়টিতে তার ব্যাট থেকে আসে ১২৫ রান। শেষ ম্যাচে ২৮ রান। সব মিলিয়ে ২৩৭ রান করে সিরিজ সেরার পুরস্কারও জিতেছেন মুশি। গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। জয়ের নায়ক এই উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান।
আইসিসির ভোটিং কমিটি, ধারাভাষ্যকার, সমর্থকদের ভোটে হাসান আলি এবং প্রবীন জয়াবিক্রমাকে পিছনে ফেলে নির্বাচিত হয়েছেন মুশফিক। এমন অর্জনের পর আইসিসির পাশাপাশি সমর্থকদেরও ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।
এক ভিডিও বার্তায় মুশফিক বলেন, ‘ধন্যবাদ সবাইকে। বিশেষ করে আইসিসিকে। মে মাসের সেরা ক্রিকেটার বাছাইয়ে সুযোগ দেওয়ার জন্য এবং আমাকে নির্বাচিত করার জন্য। তার চাইতেও বড় ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন। আমি মনে করি এটা শুধু আমাকে নয়, বাংলাদেশকে আপনারা জিতিয়েছেন।’
এই তারকা ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘আমার চেষ্টা থাকবে সামনে ভালো করার। শুধু মাস সেরা ক্রিকেটার হিসেবে নয়, আমার এ পারফরম্যান্স যেন সারা বছর জুড়ে বজায় থাকে। যেন অনেক ভালো ভালো ইনিংস ও ম্যাচ উইনিং ইনিংস উপহার দিতে পারি।’ মানে নতুনস্বেপ্ন, নতুন লক্ষ্য মুশফিকের চোখে।
মুশফিকের ধারাবাহিকতায় মুগ্ধ আইসিসির ভোটিং কমিটির সদস্য সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণ। তিনি বলেন, ‘শীর্ষ পর্যায়ে ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলার পরও মুশফিকের রান করার ক্ষুধা কমেনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজে সে তার অন্যতম সেরা ফর্মে ছিল। যা তার ধারাবাহিকতা অন্যতম উদাহরণ। তার পারফরম্যান্সের সুবাদেই ১৯৯৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। মিডলঅর্ডারে ব্যাটিং ও একসঙ্গে উইকেটকিপিং করাটা তার ফিটনেস ও স্কিলেরই পরিচায়ক।’
Discussion about this post