ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটে লিগে (ডিপিএল) জয়ের ছন্দে ছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। টানা দুই জয়ে লড়াইয়ে ফিরেছিল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু শুক্রবার ছুটির দিনে পথ হারাল তারা। রূপগঞ্জকে হারাল প্রাইম ব্যাংক স্পোর্টস ক্লাব। টি-টুয়েন্টির লড়াইটা হলো একপেশে। ১০১ রানে জিতল প্রাইম ব্যাংক।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাটসম্যানদের দাপটে প্রাইম ব্যাংক ২০ ওভারে করে ১৬৯ রান। রনি ৩১ বলে ৫৩ ও এনামুল হক বিজয় অপরাজিত ৪৯ বলে ৬৯ বলে। জবাব দিতে নেমে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ রূপগঞ্জ। আটকে যায় মাত্র ৬৮ রানে।
এবারের লিগে এই প্রথম একশর নীচে অলআউটের ঘটনা এবারই প্রথম দেখা গেল। ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রাইম ব্যাংকের তামিম ইকবাল বেশিদূর যেতে পারলেন না। ২০ বলে ১২ রানে আউট। লিগে ৭ ম্যাচ খেলে একটিও হাফসেঞ্চুরি পেলেন না তিনি। এরপর রনি ও এনামুল রূপগঞ্জের বোলারদের চেপে ধরেন।
জবাবে নেমে রূপগঞ্জ শুরুতেই হারায় পথ। প্রথম ওভারে নাহিদুল ইসলামকে চার-ছক্কা মেরে আউট আজমির আহমেদ। সাব্বির রহমান শূন্যতে ফেরেন সাজঘরে। দুই অঙ্ক দেখলেন শুধু তিন ব্যাটসম্যান। প্রাইম ব্যাংকের সেরা বোলার মুস্তাফিজুর রহমান এদিন বল হাতেই নেননি!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
প্রাইম ব্যাংক: ২০ ওভারে ১৬৯/৫ (তামিম ১২, রনি ৫৩, এনামুল ৬৯*, মিঠুন ১৮, অলক ৪, নাহিদুল ২, অমিত ০*; শহীদ ৪-০-৩৭-১, সোহাগ ২-০-১৬-০, নাবিল ৪-০-২৫-১, সানজামুল ৪-০-২০-০, অনিক ২-০-৩৪-০, মুক্তার ৪-০-২৮-৩)।
রূপগঞ্জ: ১৮ ওভারে ৬৮ (আজমির ১২, পিনাক ১, সাব্বির ০, জাকের ১৬, নাঈম ৪, সানজামুল ৭, সোহাগ ৭, মুক্তার ৫, অনিক ০, শহীদ ১৩*, নাবিল ১; নাহিদুল ৪-২-১৫-৩, রুবেল ৪-১-১৭-২, শরিফুল ৩-১-৮-১, নাঈম ৪-০-১৩-২, অলক ২-০-১০-০, মিঠুন ১-০-৫-১)।
ফল : প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১০১ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : নাহিদুল ইসলাম।
Discussion about this post