২০ ওভারের ক্রিকেটে বোলারদের সুযোগটা কমই থাকে। এখানে ব্যাট হাতে দাপট দেখান ব্যাটসম্যানরাই। বল হাতে ম্যাজিক দেখাবেনই কী করে, উইকেট ব্যাটসম্যানদের কথা ভেবেই করা হয়। আবার বোলাররা বল পান মাত্র ২৪টি। কিন্তু এই টি-টুয়েন্টিতেই যখন একজন বোলার যখন ৫ উইকেট নেন, তখন তাকে স্যালুট দিতেই হয়! বৃহস্পতিবার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ম্যাচে ঠিক তাই পেলেন সালাউদ্দিন শাকিল।
টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে এবারের টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়বার দেখা গেল ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি। প্রথম মুস্তাফিজুর রহমান। এবার শাকিল। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ১০৪ রানে ধসিয়ে দিতে ফাইফারের কীর্তি গড়েন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের এই বাঁহাতি মিডিয়াম পেসার।
বৃহস্পতিবার বিকেএসপিতে ষষ্ঠ ওভারে প্রথম বল হাতে নিয়েই ওপেনার তাসামুল হককে (৬) ফেরান শাকিল। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার আব্বাস মুসাকে (২০) দেখিয়ে দেন সাজঘরের পথ। দ্বিতীয় স্পেলে ১৫তম ওভারে বল হাতে নিয়ে প্রথম ডেলিভারিতেই ধীমান ঘোষকে (১৯) আউট করেন শাকিল। শেষ ওভারে টানা দুই বলে ফেরান জুবায়ের হোসেন (১) ও শাহাদাত হোসেনকে (০)। ৩.৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন ৭ জুলাই ১৯৮৯ সালে জন্ম নেওয়া মুন্সীগঞ্জের এই ক্রিকেটার।
চলতি লিগে প্রথম পাঁচ ম্যাচে ৬ উইকেট নেন তিনি। এবার ৫ উইকেটে যৌথভাবে আসরের শীর্ষ উইকেটশিকারিও হয়ে গেলেন। মুস্তাফিজুর রহমানও তার সমান ১১ উইকেট। গত ৫ জুন মোহামেডানের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ২২ রানে ৫ উইকেট নেন দ্য ফিজ।
টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের ১৬তম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট পেলেন শাকিল। এর আগে মুস্তাফিজ, আরাফাত সানি, আল-আমিন হোসেন, মাশরাফি মুর্তজা, ফরহাদ রেজা, রুবেল হোসেন, নাসির হোসেন, তাসকিন আহমেদ, আবুল হাসান, রবিউল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, মুক্তার আলী, আফিফ হোসেন, সাকিব আল হাসান ও ইলিয়াস সানি নেন ৫ উইকেট। যারমধ্যে সাকিব একাই চারবার পেয়েছেন ৫ উইকেট।
Discussion about this post