এই সফর থেকেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের। দলটিতে তাইতো অনেক তরুণ ক্রিকেটার। সেই পথে হাঁটতে চাইছে বাংলাদেশও। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনায় যদিও এখনও থাকছেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা। তবে রাসেল ডমিঙ্গোর প্রশ্ন- বিশ্বকাপের যদি ছিটকে পড়েন সিনিয়রদের কেউ, তবে বিকল্প খুঁজতে হবে।
রোববার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি। তার আগে শনিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ উদাহরণ দিয়েই বণেন, তরুণদের কাকে তিনি দেখতে চান। জানাচ্ছিলেন, ‘মুশফিক, তামিম, সাকিব ও রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আমাদের আছে। তবে দু-একজন তরুণকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা ও সুযোগ দেওয়া সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। এবার যেমন, আফিফ হোসেনের মতো তরুণ কেউ আসতে পারে এবং প্রভাব রাখতে পারে। সিনিয়র ক্রিকেটার থাকার পাশাপাশি তরুণদের উন্নতিও গুরুত্বপূর্ণ। ওই ক্রিকেটাররা তো চিরদিন থাকবে না। চোট আসবে, ফর্মহীনতা থাকবে। এটা তাই নিশ্চিত করতে হবে যেন ক্রিকেটারদের সংখ্যার পরিধি বড় হয়।’
ডমিঙ্গো বাস্তবতা বুঝতে পারছেন। তাইতো অভিজ্ঞরা যে এক সময় সরে দাঁড়াবেন সেটিও বুঝতে পারছেন। কারণ তাদের বয়স হচ্ছে। তিনি শনিবার বলছিলেন, ‘আমরা জানি, এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি সিরিজ এবং পয়েন্ট পাওয়ার হাতছানি আছে। তাই দুটির সমন্বয় জরুরি। এখনকার পারফরম্যান্স যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য দলের গড়ে ওঠাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কে জানে- দুই বছর পর সাকিব, তামিম, রিয়াদ বা মুশফিককে হয়তো পাওয়া যাবে না! আরও কিছু ক্রিকেটার গড়ে তোলা তাই নিশ্চিত করতে হবে, যারা এই মানের ক্রিকেটারদের অভাব পূরণ করতে পারে। প্রক্রিয়াটির ক্ষেত্রে থাকতে হবে সতর্ক।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের দলে অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়রদের পাশাপাশি রয়েছেন মেহেদি হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। তারা সবাই আছেন ডমিঙ্গোর ভবিষ্যত ভাবনায়।
বাংলাদেশের কোচ ডমিঙ্গো বলছিলেন, ‘বিশ্বকাপের মাস ছয়েক আগে আমাদের ব্যাটিং অর্ডার নিশ্চিত করতে হবে। এই সিরিজ যেমন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রাপ্তির দিক থেকে, তেমনি দুই বছর পর ব্যাটিং অর্ডার কেমন হবে, সেটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার সুযোগও। সবসময়ই সেরা দল খেলানোর ক্ষেত্রে স্মার্ট হতে হবে আমাদের, একই সঙ্গে দলে নড়বড়ে থাকাদের পরখ করার সুযোগও নিতে হবে।’
Discussion about this post