সমালোচনার তোপে থাকলেও চোখ বন্ধ ছিল আয়োজকদের। সব উড়িয়ে চলছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) খেলা। কিন্তু এবার হার মানতেই হলো। করোনার সংক্রমণে ভারত যখন দিশেহারা তখন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল আইপিএল। এছাড়া অন্য উপায়ও ছিল না। একের পর এক ক্রিকেটার আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। পাল্টে যাচ্ছিল সূচি। এ অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)।
একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির দলে করোনা থাবা বসানোয় সূচি অনুযায়ী আইপিএল চালিয়া যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এ কারণেই ভঙ্গ দিল বোর্ড। মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তিতে বিসিসিআই জানাল, ‘আইপিএলের গর্ভনিং কাউন্সিল ও বিসিসিআই আপত্কালীন বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে আইপিএল ২০২১ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এক বিবৃতিতে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল জানিয়েছে, ‘বিসিসিআই খেলোয়াড়, কর্মী আর আইপিএল আয়োজনে জড়িত অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষার সঙ্গে কোনও আপস করতে চায় না। এই অংশীদারদের সকলের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য আর সুস্বাস্থ্যকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
করোনাভাইরাস মহামারিতে অনেকটা বিপর্যস্ত ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভারতে মারা গেছেন ৩৪৪৯ জন।আর জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকেও আইপিএলে একের পর এক ক্রিকেটার আক্রান্ত হচ্ছিলেন করোনায়। আট ফ্র্যাঞ্চাইজির চারটিতে করোনা পজিটিভ হয়েছেন খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফরা। এ কারণেই আইপিএল স্থগিতের খবরটি সংবাদসংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) নিশ্চিত করেন ভারতীয় ক্রিকেটে বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা।
করোনার কারণে একের পর এক ম্যাচ বাতিল হয়ে যেতে শুরু করেছে। এ কারণে আইপিএল এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই অসম্ভব হয় পড়ে। তাছাড়া একাধিক ভারতীয় ও বিদেশি ক্রিকেটার আইপিএল খেলতে রাজি ছিলেন না। কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও দিল্লি ক্যাপিটালস দলের ক্রিকেটার এবং সদস্যরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার জানা যায়, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহা ও দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্র করোনায় আক্রান্ত।
চেন্নাই দল ইতিমধ্যেই ৬ দিনের জন্য কঠোর নিভৃতবাসে আছে। এই মুহূর্তে আইপিএলের ৬টি দল কঠোর আইসোলেশনে। পুরো পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখার পরই আইপিএল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই।
এ অবস্থায় ক্রিকেটারদের বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়েছে। কারণ সহসাই ক্যাম্পও বন্ধ হয়ে যাবে। দেশে ফিরতে হবে সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকেও।
Discussion about this post