সত্যিকার অর্থেই হতাশায় কাটল বাংলাদেশের। বোলাররা বল করে গেলেন কিন্তু সাফল্যের দেখা নেই। দুই দফায় আলোর স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হলো। আর নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে চতুর্থ দিনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন আম্পায়ার। টেস্টের পঞ্চম দিনে ৩ উইকেটে ৫১২ রানে শেষ দিন মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা। অবশ্য এখনও বাংলাদেশের চেয়ে ২৯ রানের পিছিয়ে তারা।
ক্যান্ডির ব্যাটিং স্বর্গ আয়েশেই ব্যাট করলেন দিমুথ করুণারত্নে ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তারা গড়লেন ৩২২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। তাতেই কোণঠাসা বাংলাদেশ। করুণারত্নে তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। ধনঞ্জয়া দ্বিতীয়বারের মতোেপেলেন দেড়শর দেখা।
সব মিলিয়ে টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতা শূন্য। এ নিয়ে টেস্টে চতুর্থ বারের মতো বাংলাদেশ পুরো এক দিনে কোনও উইকেট পেলো না। ২০০৩ ও ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ২০০৭ সালে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে এমন হতাশায় দিন পার করেছিল টাইগাররা।
এর আগে তৃতীয় দিন চা বিরতির মাঝামাঝি সময়ে জুটি গড়েন দিমুথ করুণারত্নে ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। এরপর চতুর্থ দিনও শুধু হতাশা উপহার দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলামদের। গড়েন এই মাঠে রেকর্ড জুটি। দুজনে মিলে ৩২২ রান তুলেছেন। ১৮ রান তুললেই দশম লঙ্কান ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন করুণারত্নে। তিনি অপরাজিত আছেন ২৩৪ রানে। অন্যপ্রান্তে ধনঞ্জয়া খেলছেন ১৫৪ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৭৩ ওভারে ৫৪১/৭ (ডি.) (তামিম ৯০, সাইফ ০, শান্ত ১৬৩, মুমিনুল ১২৭, মুশফিক ৬৮*, লিটন ৫০, মিরাজ ৩, তাইজুল ২, তাসকিন ৬*; লাকমল ৩৬-১৪-৮১-১, বিশ্ব ৩৫-৯-৯৬-৪, কুমারা ২৮-৪-৮৮-১, ম্যাথিউস ৭-১-১৪-০, ধনাঞ্জয়া ৩০-১-১৩০-১, হাসারাঙ্গা ৩৬-২-১১১-০, করুনারত্নে ১-০-৫-০)।
শ্রীলঙ্কা ১৪৯ ওভারে ৫১২/৩ (করুণারত্নে ২৩৪*, ধনঞ্জয়া ১৫৪*); বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস ৫৪১/৭ ডিক্লেয়ার্ড
Discussion about this post