ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সব ঠিক থাকলে এ মাসেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর। মুমিনুল হকের নেতৃত্বে আগামী ১২ এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। সফরে দুটি টেস্ট ম্যাচ পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রথম টেস্ট শুরু ২১ এপ্রিল। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৯ এপ্রিল। নিউজিল্যান্ড সফর শেষে এখন ভাবনা লঙ্কার ক্রিকেট।
চটজলদিই সফরের জন্য দল ঠিক করতে হবে। যদিও করোনার কারণে ফের সফর নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। লঙ্কান সরকার চাইছে ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চাইছে তিনি দিন। এরমধ্যে দল গঠন নিয়েও ভাবতে হচ্ছে নির্বাচকদের।
শ্রীলঙ্কা সফরের আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন হাবিবুল বাশার সুমন। চলুন দেখে নেই নির্বাচক কমিটির এই সদস্য কী বললেন।
প্রসঙ্গ লঙ্কা সফরের দল-
হাবিবুল বাশার সুমন: ফিটনেস নিয়ে একটা চিন্তা বিষয় আছে। আমি যতটুক জানি মুশফিক ফিট হয়ে যাবে। আমরা ওকে পাব। আরও কয়েকটা জায়গায় চিন্তার বিষয় আছে। হাসান মাহমুদের ফিটনেস ইস্যু আছে, আমরা তার ফাইনাল রিপোর্ট আজকে বা কালকে পেয়ে যাবো। ফিটনেস ইস্যুর কারণেই আমরা দলটা এখনো দিতে পারিনি। আজ-কালকের মধ্যে সবার রিপোর্ট পেয়ে যাবো। এরপরই দল চূড়ান্ত করে ফেলবো।
কেমন হবে শ্রীলঙ্কার উইকেট…
হাবিবুল বাশার সুমন : আমি ক্যান্ডির উইকেটে খেলেছি। সাধারণত ক্যান্ডির উইকেটের সাথে কলম্বোর উইকেটে কিছুটা পার্থক্য থাকে। স্পোর্টিং উইকেট কিন্তু ক্যান্ডিতে হয়। কিন্তু আমরা স্পিন-পেস দুইটা বিভাগই নিয়ে যাবো। গেলেইতো বুঝতে পারবো কন্ডিশন কেমন হবে। হাতে বিকল্প থাকবে ম্যাচের আগে পরিস্থিতি দেখে একাদশ সাজানো হবে। তবে স্পিন পেস দুটোই নিয়ে যাবো।
কোয়ারেন্টাইন নিয়ে এবার কী হতে পারে…
হাবিবুল বাশার সুমন : শ্রীলঙ্কায় তিনদিনের কোয়ারেন্টাইন। নিউজিল্যান্ডের মত না যে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। এমনু না যে দুইদিন লাগবে পৌঁছাতে। শ্রীলঙ্কায় যেতে খুব কম সময় লাগে, কোয়ারেন্টাইন সময়সীমা কম আছে। এ ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি হলে ৩-৪ দিন আগে প্লেয়ার নেওয়া যাবে। যেহেতু দুইটা টেস্ট ম্যাচ, বহরটা নিউজিল্যান্ডের মত বড় হোক সেটা আমরা চাইনা। চাই বহরটা ছোট হোক। সেসব আলোচনা করেই স্কোয়াড টা দেওয়া হবে।
লঙ্কা সফরের দলে চমক থাকবে?
হাবিবুল বাশার সুমন : চমক ঠিক বলবোনা। আমরাতো দলের যেটা প্রয়োজন সেটা নিয়েই দল বানাই। এর মধ্যে তো খুব বেশি খেলা হয়নি। প্রথম শ্রেণির দুইটা রাউন্ড হয়েছে। সেখানে পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ করেছি। স্কোয়াডে নতুন কাউকে নেওয়া হবে কিনা বা পুরোনো কাউকে সুযোগ দেওয়া হবে কিনা সেটা আসলে আজকে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দুইটা রাউন্ড আসলে কম হয়ে যায়। আশা করি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আবার শুরু হবে। আমি যতটুক দেখেছি সবগুলো উইকেটই স্পোর্টিং হচ্ছে। যেখানে ব্যাটসম্যান বোলার সবারই সুযোগ থাকছে। যেটা বললাম দুটো ম্যাচ দিয়ে আসলে মূল্যায়ণ করা কঠিন। আমরা চেষ্টা করছি একটা বড় গ্রুপ নিয়ে চিন্তা করতে। এখন যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তাতে এক বছরের জন্য যে স্কোয়াড আমরা চিন্তা করি সেটা কিন্তু বড় করতে হবে। ১৫-২০ জন নয় আপনাকে ২৫-৩০ জন নিয়ে ভাবতে হতে পারে। কারণ আপনি এখন দেখছেন কোয়ারেন্টাইন জটিলতা থাকে। সেক্ষেত্রে স্কোয়াডটা বড় করতে হয়। কেউ ইনজুরড হলে তার ফিরে আসতে সময় লাগছে। কিছু তরুণ ভালো করেছে (জাতীয় লিগে), কিছু বোলার ভালো করেছে। সাথে পুরোনোরা অনেকে ভালো করেছে। নাঈম হাসান বল করেছে এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ ওর চোট টা আমাদের বেশ ভুগিয়েছে গত সিরিজে।
Discussion about this post