ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ফাইনালে রূপ নেয়া ম্যাচে শনিবার ব্যাট াতে ঝড় তুলেন রোতি শর্মা ও বিরাট কোহলি। তাদের নৈপুণ্যে ভারত পেল রেকর্ড সংগ্রহ। রান তাড়ায় জস বাটলার ও ডেভিড মালানের ব্যাটে অনেকটা সময় ইংল্যান্ড লড়াই চালিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত পারেনি। যে কারণে বড় জয়েই সিরিজ নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শনিবার পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ভারত জিতে ৩৬ রানে। টানা দুই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জিতে নিয়েছে তারা ৩-২ ব্যবধানে।
শনিবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ভারত তোলে ২ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান। টি-টোয়েন্টিতে যা তাদের চতুর্থ সর্বোচ্চ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডারবানে যুবরাজ সিংয়ের ওভারে ছয় ছক্কার ম্যাচে ৪ উইকেটে ২১৮ রান ছিল দলটির বিপক্ষে তাদের আগের রেকর্ড। বড় লক্ষ্য তাড়ায় বাটলার ও মালানের ৮২ বলে ১৩০ রানের জুটিতে জয়ের আশা জাগিয়েছিল ইংলিশরা। তবে মাঝপথে তিন রানে তিন উইকেট খুইয়ে পথ হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত থামে ১৮৮ রানে।
ভুননেশ্বর কুমার সিরিজের শেষ ম্যাচে বল হাতে শুরুতেই আঘাত হানার পর দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে আউট করেন বিপজ্জনক বাটলারকে। তিনি একাই দেন ১৭টি ডট বল দেন, তার চার ওভার থেকে আসে মোটে ১৫ রান। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি।
এরআগে ব্যাট হাতে ভারতকে দারুণ সুচনা এনে দিতে ৩৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। ওপেনিংয়ে নেমে ৫২ বলে অপরাজিত ৮০ রান করেন অধিনায়ক কোহলি। সূর্যকুমার করেন ১৭ বলে ৩২ রান। এদিকে ১৭ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন পান্ডিয়া।
পঞ্চাশের বেশি রান খরচ করেন ইংল্যান্ডের দুই বোলার-জর্ডান ৫৭ ও উড ৫৩ রানে ছিলেন উইকেটশূন্য। সিরিজে পাঁচ ইনিংসে জর্ডান দেন মোট ১৯৮ রান, দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোনো বোলারের সর্বোচ্চ।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় ইংল্যান্ড রয়কে হারায় ভুবনেশ্বরের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই। বাটলার ও মালান এরপর এগিয়ে নেন দলকে। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীদের রান ছিল ১ উইকেটে ৬২। পরে মালান দারুণ খেলে ৩৩ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। বাটলার তোলেন ঝড়। জুটির রান তিন অঙ্ক স্পর্শ করে ৫৪ বলে। ১২ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ছিল ১ উইকেটে ১২৭। বাটলার ৩০ বলে ফিফটির পর আর টেকেননি। বোলিংয়ে ফিরে তাকে বিদায় করে ১৩০ রানের বড় জুটি ভাঙেন ভুবনেশ্বর। ৩৪ বলে ৪ ছক্কা ও ২টি চারে কিপার-ব্যাটসম্যান করেন ৫২ রান। বাটলারের বিদায়ের পরই মূলত পথ হারায় ইংল্যান্ড। ১ উইকেটে ১৩০ থেকে দ্রুতই তাদের স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ১৪২। কিছুক্ষণ পরই মালান ৪৬ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান তুলে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত তাই আর পেরে ওঠেনি সফরকারীরা। যে কারণে সিরিজ জয়ের উল্লাসে মাতে ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ২২৪/২ (রোহিত ৬৪, কোহলি ৮০*, সূর্যকুমার ৩২, পান্ডিয়া ৩৯*; রশিদ ৪-০-৩১-১, আর্চার ৪-০-৪৩-০, উড ৪-০-৫৩-০, জর্ডান ৪-০-৫৭-০, স্যাম কারান ১-০-১১-০, স্টোকস ৩-০-২৬-১)
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৮৮/৮ (রয় ০, বাটলার ৫২, মালান ৬৮, বেয়ারস্টো ৭, মর্গ্যান ১, স্টোকস ১৪, জর্ডান ১১, আর্চার ১, স্যাম কারান ১৪*, রশিদ ০*; ভুবনেশ্বর ৪-০-১৫-১, পান্ডিয়া ৪-০-৩৪-১, সুন্দর ১-০-১৩-০, শার্দুল ৪-০-৪৫-৩, নাটরাজন ৪-০-৩৯-১, চাহার ৩-০-৩৩-০)
ফল: ভারত ৩৬ রানে জয়ী
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ভারত ৩-২ ব্যবধানে জয়ী
ম্যাচসেরা: ভুবনেশ্বর কুমার
সিরিজ সেরা: বিরাট কোহলি।
নিউজজি/সিআর
Discussion about this post