ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বাংলাদেশ সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদেরসহ সবার গত ১০ জানুয়ারি প্রথম করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। ফল অবশ্য ‘নেগেটিভ’ এসেছিল। তবে দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় ওয়ালশ জুনিয়রের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফের পরীক্ষা করা হলে সেই পরীক্ষায়ও ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসে। ফলে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে তাকে।
ওয়ালশ জুনিয়রের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট (সিডব্লিউআই)। সিডব্লিউআই জানিয়েছে, ‘নেগেটিভ’ অর্থাৎ করোনামুক্ত হওয়ার আগপর্যন্ত ঢাকায় আইসোলেশনে থাকবেন তিনি। দলের ফিজিও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার তদারকি করছেন।
বাংলাদেশে পা রাখার পর থেকে ১০ ওয়ালশ জুনিয়র সতীর্থ বা অন্য কারও সাথে মেলামেশা করেননি। এদিকে ক্যারিবীয়রা ৩ দিন আইসোলেশনে ছিল। তার মধ্যেই প্রথমবার করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হন তিনি। ওয়ালশ জুনিয়র ‘পজিটিভ’ হলেও করোনা পরীক্ষায় স্কোয়াডের বাকি সব খেলোয়াড় এবং কোচ ও কর্মকর্তারা ‘নেগেটিভ’ ফল পেয়েছেন। বাংলাদেশ সফরের জন্য গত ১১ দিনে এ নিয়ে মোট ৪ বার করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হল ক্যারিবীয়দের।
করোনা পজেটিভ হওয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজে খেলার সম্ভাবনা শেষ ওয়ালশের। আরও দুবার তার করোনা পরীক্ষা করা হবে। এরপরই সিরিজে মাঠে নামার ছাড়পত্র পাবেন তিনি।
বুধবার থেকে শুরু হতে হওয়া ওয়ানডে সিরিজে এই লেগ স্পিনারকে পাচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ হবে আগামী শুক্রবার ও ২৫ জানুয়ারি।
দলের চিকিৎসক প্রাইমানান্দ সিং এর তত্ত্ববধানে রয়েছেন ওয়ালশ। উইন্ডিজ দল জানিয়েছে বাংলাদেশে পা দিয়ে দলের সদস্যরা ব্যক্তিগত আইসোলেশনে রয়েছেন। এ কারণে অন্য খেলোয়াড়ের সংস্পর্শে তার আসার সম্ভাবনা নেই। উইন্ডিজ দলের মিডিয়া ম্যানেজার ড্যারিও বার্থলে জানান, ‘ওয়ালশ শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো আছে। তার শরীরে কোনো উপসর্গ নেই।’
এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ সফর থেকে ছিটকে পড়েন রোমারিও শেফার্ড।
Discussion about this post