ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
তিনি অবসর নেননি। চাইলে নিয়ে নিতে পারেন। জাতীয় দলের দরজা এক কথায় বন্ধই হয়ে গেল মাশরাফি বিন মর্তুজার। গত মার্চ মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে দেখা গেছে তাকে। এরপর করোনায় খেলা বন্ধ থাকায় তিনিও ছিলেন মাঠের বাইরে। সবশেষ বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে ফিরে বল হাতে চমক দেখান। বুঝিয়ে দেন তিনি ফুরিয়ে যান নি। তার পথ ধরে মাশরাফির জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হচ্ছিল।
কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাবেক অধিনায়ককে দলে রাখেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কারণ হিসেবে জানানো হলো- ২০২৩ বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় নেই এ পেসার। মানে নড়াইল এক্সপ্রেসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ বলা যায়!
গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচেই ছাড়েন অধিনায়কের দায়িত্ব। বয়স ৩৭ পেরোলেও চেয়েছিলেন লড়ে যেতে। কিন্তু উইন্ডিজের বিপক্ষে মাশরাফিকে দলে রাখেনি বিসিবির নির্বাচকরা।
সোমবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুিএনিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান কেন বাদ মাশরাফি, ‘অবশ্যই সবসময় ওর প্রতি সম্মান রয়েছে আমাদের। মাশরাফি আমাদের দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। তবে বাস্তবতা আমাদেরকে মানতে হবে। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
মূলত সামনের বিশ্বকাপের কথা ভেবেই ওয়ানডে দলে রাখা হয়নি মাশরাফিকে। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টি ২০২৩ বিশ্বকাপ পরিকল্পনায়। এটি আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা আর আমরা সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য মাশরাফিকে দলের বাইরে রাখতে হয়েছে। সেই হিসেবে আমরা মনে করি যে, নতুনভাবে পথা চলা। মাশরাফির জায়গায় যে খেলবে, তার জন্য অনেক বড় সুযোগ।’
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে চায় নির্বাচক ও টিম ম্যানেজম্যান্ট।
এই সিদান্তের আগে মাশরাফির সঙ্গে কথা হয়েছে নান্নুর। জানালেন, ‘আমি ওর সাথে কথা বলেছি। বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমি আমার যতটুকু বলার ছিল, তা বলে দিয়েছি। ভালোই আলোচনা হয়েছে, যার কারণে ভুল বুঝাবুঝির কিছুই নেই। এখানে অনেক প্রসঙ্গ এসেছে। টিম ম্যানেজমেন্টসহ আমরা অনেক আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তাহলে জাতীয় দলে মাশরাফির ভবিষ্যৎ কি শেষ?
এমন প্রশ্নের মুখে কৗশলে নান্নু বলছিলেন, ‘আমরা দেশের ক্রিকেটের কথা চিন্তা করে, আগামীতে এগিয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদেরকে তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগের জাগয়া করে দিতে হবে। মাশরাফি তো খেলা চালিয়ে যাবে। এটা ওর ওপর নির্ভর করবে। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবে, দেখা যাক কি হয়।’
বল মাশরাফির কোর্টেই থাকলো। কী করবেন, কি সিদ্ধান্ত নেবেন দেশের ইতিহাসের সেরা এই অধিনায়ক?
Discussion about this post