ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
যেন চোখের পলকেই চলে গেল ২০ বছর। দুই দশক। সেদিন ছিল কুয়াশা পড়া শীতের সকাল। ১০ নভেম্বর, ২০০০। পল্টনের বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে লেখা হয়েছিল নতুন ইতিহাস। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ দল। যেখানে ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হার মেনেছিল টাইগাররা।
এরপর সাদা পোষাকের ক্রিকেটে উত্থান-পতনের গল্পটা বড় একপেশে। প্রায় পুরোটা জুড়ে হতাশা সঙ্গী হয়েছে। এই সময়টাতে বাংলাদেশ খেলেছে ১১৯টি টেস্ট। যার মধ্যে জিতেছে মাত্র ১৪টি। ১০টি ছিল ঘরের মাঠে। দল হেরেছে ৮৯ টেস্ট। ১৬টি টেস্ট ড্র।
প্রথম জয় এসেছে ২০০৫ সালে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। চট্টগ্রামে।
এই সময়টাতে ব্যক্তিগত সাফল্য অনেকেই রঙিন করেছেন দেশের ক্রিকেট। শুরুতেই চমক দেখান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেন তিনি। করেন ১৪৫ রান। এ ইনিংসে দেড়শ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে অনন্য নজির গড়েন। নিজেদের অভিষেক টেস্টে শতরান করেন বুলবুলসহ মাত্র চারজন। অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ব্যানারম্যান, জিম্বাবুয়ের ডেভ হটন আর আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েন।
আলোচনায় আসবে মোহাম্মদ আশরাফুলের নাম। তিনি যে টেস্ট ক্রিকেটের অভিষেকে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান। ২০০১ সালে নিজের অভিষেকে ১৭ বছর ৬৩ দিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শতক সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
আবার সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট ম্যাচে ১০ উইকেট শিকারের রেকর্ডটি বাংলাদেশের এনামুল হক জুনিয়র। ২০০৫ সালে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২ উইকেট যেদিন নেন সেদিন তার বয়স ছিল ১৮ বছর ৪০ দিন।
সেঞ্চুরি ও হ্যাটট্রিকের অনন্য রেকর্ড গড়েন সোহাগ গাজি। ২০১৩ সালে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার এমন অর্জন যোগ হয় তার নামের পাশে।
দেশের ক্রিকেট রঙিন করেছেন সাকিব আল হাসানও। ইতিহাসে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট শিকার করা তৃতীয় ক্রিকেটার তিনি। ২০১৪ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি আর ম্যাচে ১০ উইকেট নেন এই স্পিনার। তার আগে শুধু ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম ও পাকিস্তানের ইমরান খান এমন অর্জনে গর্বিত হয়েছেন।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ৭০ টেস্ট খেলে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও তার। করেছেন ৪৪১৩ রান। তার চেয়ে ১০ টেস্ট কম খেলে তামিম ইকবাল ৪৪০৫ রান। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি তিনটি। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ২১৯ রানও তার। রয়েছে মুমিনুল হকের ৭ টেস্টের ১৩ ইনিংসে ফিফটির রেকর্ড। স্যার ডন ব্র্যাডমানের দখলে আছে এই রেকর্ড।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিব। ৫৬ টেস্ট থেকে ২১০ উইকেট তুলেছেন তিনি। এরপরই তাইজুল ইসলাম, ২৯ ম্যাচে ১১৪ উইকেট।
সঙ্গে সাকিবের টেস্ট অলরাউন্ডারদের মধ্যে শীর্ষস্থানে ওঠে এসেছেন আলোচনায়। তিন ফরম্যাটেই সেরা হয়েছিলেন তিনি।
Discussion about this post