ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
শুরুতে সুমন খানের দুরন্ত বোলিং এরপর লিটন দাসের ব্যাটে রান। দুইয়ে মিলে বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপের ফাইনালে অনায়াস জয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশের। প্রাথমিক পর্বে দুর্দান্ত খেললেও নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশ তেমন কিছুই করতে পারল না ফাইনালে।
৭ উইকেটের অনায়াস জয়ে তিন দলের নতুন এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহর দল।
রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শান্ত একাদশকে ১৭৩ রানে থামিয়ে দেয় মাহমুদউল্লাহরা। এরপর লিটনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ১২২ বল বাকি রেখেই জয়। যাকে বলে হেসে-খেলে জয়!
ফাইনালে রিয়াদের মুখে হাসি ফোটালেন তরুণ পেসার সুমন খান। ২০ বছর বয়সী এই পেসারের নিয়েছেন ৩৮ রানে ৫ উইকেট। এরপর লিটন তুলে নেন ব্যাট হাতে ৬৯ বলে ৬৮ রান। অপরাজিত ৫২ রান খেলেন ইমরুল কায়েস।
করোনা কালে দিবা-রাত্রির ম্যাচে টস ভাগ্য ছিল মাহমুদউল্লাহর পক্ষে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শান্তর দল হতাশ করে। দুই পেসার সুমন খান-রুবেল হোসেনের বোলিং তোপে দল অলআউট মাত্র ১৭৩ রানে। টুর্নামেন্টে সফল রুবেল নিয়েছেন ২ উইকেট। ৫ উইকেট সুমনের। শান্ত একাদশের একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ান ইরফান শুক্কুর। করেন ৭৭ বলে ৭৫ রান।
গোটা টুর্নামেন্টেই হতাশ করছিলেন লিটন। কিন্তু শেষটাতে এসে ঠিকই মেলে ধরলেন। ফাইনালে ফিরে পেলেন নিজেকে। সেই চিরচেনা লিটন দাসেরই দেখা মিলল। ৬৮ রান তুলতেই বাউন্ডারি ছিল ১০টি। আবার ইমরুলও ছিলেন বেশ সাবলীল। তাদের ব্যাটে চড়েই তো অনায়াস জয়।
টানা দুই ছক্কায় ফিফটি করে ম্যাচের ইতি টানেন ইমরুল। ৫৫ বলে অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংসে ছক্কা ৬টি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ২৩ রান তুলতে খেলেন ১১ বল।
সব মিলিয়ে করোনাকালে ভাল অনুশীলনই করলেন ক্রিকেটাররা। টুর্নামেন্ট দিয়েই ঝালিয়ে নিলেন নিজেদের। শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হলেও থাকতে হয়নি মাঠের বাইরে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শান্ত একাদশ: ৪৭.১ ওভারে ১৭৩/১০ ( সাইফ ৪, সৌম্য ৫, শান্ত ৩২, মুশফিক ১২, আফিফ ০, তৌহিদ ২৬, ইরফান ১১, নাঈম ৭, নাসুম ৩, তাসকিন ১, আল আমিন ২*; রুবেল ৮-২-২৭-২, সুমন ১০-০-৩৮-৫, ইবাদত ৮.১-১-১৮-১, মিরাজ ৯-০-৩৯-১, বিপ্লব ৫-০-২১-০, মাহমুদউল্লাহ ৭-০-২৮-১)।
মাহমুদউল্লাহ একাদশ: ২৯.৪ ওভারে ১৭৭/৩ (লিটন ৬৮, মুমিনুল ৪, মাহমুদুল ১৮, ইমরুল ৫৩*, মাহমুদউল্লাহ ২৩*; তাসকিন ৭-০-৪৫-০, আল আমিন ৬-১-৩২-১, নাসুম ১০-০-৪৮-২, আবু জায়েদ ২-০-৭-০, নাঈম ৪.৪-০-৪৪-০)।
ফল: মাহমুদউল্লাহ একাদশ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ফাইনাল: সুমন খান
ব্যাটসম্যান অব দা ফাইনাল: ইরফান শুক্কুর
বোলার অব দা ফাইনাল: সুমন খান
ফিল্ডার অব দা ফাইনাল: নুরুল হাসান
ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট: মুশফিকুর রহিম
ব্যাটসম্যান অব দা টুর্নামেন্ট: ইরফান শুক্কুর
বোলার অব দা টুর্নামেন্ট: রুবেল হোসেন
ফিল্ডার অব দা টুর্নামেন্ট: নুরুল হাসান সোহান
কামব্যাক প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট: তাসকিন আহমেদ
প্রমিজিং প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট: রিশাদ হোসেন
Discussion about this post