ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
একটি প্রেরণার নাম মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার নেতৃত্বের ছোঁয়াতেই ২০১৫ সালে এ দেশের ক্রিকেটও নতুন দিনের সন্ধান পায়। যা চলছে এখনো। আজ সেই জীবন্ত কিংবদন্তির ৩৭তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন নড়াইল এক্সপ্রেস।
ছোট থেকেই মাশরাফি ছিলেন ডানপিঠে। বেশির ভাগ সময়ই তার কেটেছে নড়াইলের চিত্রা নদীতে সাঁতরে। সেই দুরন্ত মাশরাফি কখন যে হয়ে উঠলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইকন, পোস্টারবয়- সেটা বোধকরি তার নিজেরও জানা নেই। সেই মাশরাফি বিন মর্তুজা এরইমধ্যে পার করে ফেলেছেন ৩৬টি বসন্ত। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে প্রায় ১৮ বছর ধরে যুক্ত আছেন তিনি।
১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইল শহরের মহিষখোলায় জন্মগ্রহণ করেন মাশরাফি। বাবা গোলাম মর্তুজা স্বপন, মা হামিদা বেগম বলাকা। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাশরাফি বড়।
২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নড়াইল শহরের আলাদাতপুরের মৃত সিরাজুল হকের মেয়ে সুমনা হক সুমির সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন মাশরাফি। ওয়ানডে অধিনায়ক দুই সন্তানের বাবা। আজ তার ছেলে সাহেলেও জন্মদিন। ২০১৪ সালের এই দিনে ঢাকায় জন্ম নিয়েছিল ম্যাশের ছেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দিচ্ছেন অনেকে।
ছোট থেকেই মাশরাফির বেশিরভাগ সময়ই তার কাটতো বন্ধুদের নিয়ে। স্কুল ফাঁকি দিয়ে চলে যেতেন ক্রিকেট খেলতে। বাকি সময়টা চলতো ব্যাডমিন্টন আর চিত্রা নদীতে সাঁতার কেটে। সেই পথ চলায় একদিন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পেয়ে যান ডানহাতি এ পেসার। সেখান থেকেই তিনি চোখে পড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং কোচ অ্যান্ডি রবার্টসের। তার হাতে ধরেই ক্যারিয়ার নতুন দিকে মোড় নেয় ম্যাশেই। হয়তো তিনিও বুঝতে পারেননি কেমনে কি হয়ে গেল।
প্রথম শ্রেনির কোন ক্রিকেট না খেলেই ২০০১ সালের ৮ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়ে যায় মাশরাফির। নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান অবশ্য এ ডানহাতি পেসার রেখেছিলেন ৪ উইকেট নিয়ে। ঐ বছরের ২৩ নভেম্বর ওয়ানডেতেও অভিষেক হয় তার। ৮.২ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। সে পথচলায় এরইমধ্যে ক্যারিয়ারের ১৭টি বছর পার করেছেন তিনি। তবে তার এ পথচলায় ছিল অনেক ঘাত-প্রতিঘাত। তার মধ্যে অন্যতম চোট। কেননা নড়াইল এক্সপ্রেস ৭ বার হাঁটুতে করিয়েছেন অস্ত্রোপচার। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১১বার ছুরি কাঁচির নিচে যেতে হয়েছে ওয়ানডে অধিনায়কের। তারপরও তিনি থেমে ছিলেন না। দেশের টানে জীবন বাজি রেখে বারবারেই ফিরে এসেছেন ২২ গজে। বল হাতে তুলেছেন ঝড়। দেশকে জেতাকে দিয়েছেন সামনে থেকে নেতৃত্ব। যা এখনও শুধুমাত্র ওয়ানডেতে দিয়ে যাচ্ছেন এ ডানহাতি। এভাবে আরো অনেক বছর খেলে যেতে চান এ পেসার।
Discussion about this post